Red patch At Nose In Cold Is Dangerous: ঠান্ডা লেগে জল ঝরছে নাক থেকে। কিন্তু কেন শীত পড়লেই এই সমস্যা শুরু হয়? কারণ আসলে নাক। এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ঠান্ডা বাতাস নাকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা প্রায় অর্ধেক করে দিতে পারে। তার ফলেই নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়।
নাক দিয়ে শ্বাসবায়ুর সঙ্গে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াও শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে। কিন্তু নাক নিজেই সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। গবেষকরা বলেছেন, নাকের সামনের অংশটি আগে জীবাণু শণাক্ত করতে পারে। যত তাড়াতাড়ি এটি একটি অনুপ্রবেশকারী জীবণুকে শণাক্ত করে, তত তাড়াতাড়ি নাকের আস্তরণের কোষগুলি নিজেদের অজস্র প্রতিলিপি তৈরি করতে শুরু করে। এগুলিকে বলে ‘এক্সট্রা-সেলুলার ভেসিকেল’ (ইভি)।
গবেষকরা দেখেছেন যে কোনও সংক্রমণের সময়, নাক ইভি উৎপাদন ১৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।,ঠান্ডা আবহাওয়ায় নাকের সমস্যা। সমীক্ষায় চার অংশগ্রহণকারীকে ১৫ মিনিটের ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেখে তাঁদের নাসিকা গহ্বরের অবস্থা পরিমাপ করা হয়। গবেষকরা দেখেছেন যে কোনও সংক্রমণের সময়, নাক ইভি উৎপাদন ১৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।।
গবেষকদের দাবি, মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসে তখন তাঁর নাকের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এর ফলে নাকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অনেকখানি। গবেষণা বলছে, নাকের ডগায় সামান্য ঠান্ডা লাগলেই প্রায় ৪২ শতাংশ ইভি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাতে নাক লাল হয়ে যায়।
নাক কীভাবে গরম রাখবেন
নাকের ভিতরের পরিবেশ উষ্ণ রাখা ভাইরাসের লড়াই করার অন্যতম শর্ত। শীতের সময় নাক ঢেকে রাখলে ঠান্ডা কম লাগতে পারে। এ জন্য মাস্ক পরা যেতে পারে। সরাসরি জীবাণু নাকে প্রবেশও করতে পারবে না, আবার নাকের উষ্ণতাও বজায় থাকবে।