প্রথম টেস্টে উইকেটের পিছনে ঋদ্ধি-ই
কড়া বিধি নিষেধ সত্ত্বেও ইতস্তত ঘুরে বেরিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্ত (Rishab Pant )। ফলে আসন্ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে থেকে তাঁর সার্ভিস পাওয়ার ওপর ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের নিষেধ সত্ত্বেও ঘুরে বেড়ানোর জন্য তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনও স্পষ্ট বার্তা দেয়নি বিসিসিআই। তবে সম্ভবত আরও একবার ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে উইকেটের পেছনে দস্তানা হতে দেখা যাবে শিলিগুড়ির (Siliguri) ছেলে বাংলার(Bengal) ঋদ্ধিমান সাহাকে(Wriddhiman Saha)।
স্পেশালিস্ট কিপার
যদিও এ নিয়ে এখনও ঋদ্ধিমান বা বোর্ডের তরফে কোনও রকম ইঙ্গিত মেলেনি, তবে দলের সঙ্গে থাকা ঋদ্ধিমান এর বদলে অন্য কাউকে দিয়ে উইকেটকিপিং করানোর মতন পরিস্থিতি নেই। স্কোয়াডে থাকা লোকেশ রাহুল কিপিং করতে জানলেও টেস্ট-এ স্পেশালিস্ট উইকেট কিপার (wicket-keeper) ছাড়া ভারতীয় দল নামবে বলে মনে হয় না।
বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার দলেই
বিশেষত যেখানে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার দলের সঙ্গে রয়েছেন। সেখানে পাঁচদিনের ক্রিকেটের টানা উইকেট কিপিং এর ধকল, বিকল্প হিসেবে নেবে কেউ সামলাতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন না স্বয়ং বিরাট কোহলিও। ফলে শিলিগুড়ির পাপালি(ঋদ্ধির ডাক নাম) প্রথম টেস্টে দস্তানা হাতে দাড়ানো একরকম পাকা।
দক্ষতা প্রশ্নাতীত
এমনিতে উইকেটকে রক্ষার দক্ষতা হিসেবে ঋদ্ধি দেশের সেরা। উইকেট রক্ষার হিসেবে তাঁর অটোমেটিক চয়েস হয়ে যাওয়ার কথা। জাতীয় দলে শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ে ঋষভের x-factor তাঁকে দ্বিতীয় সারিতে ঠেলে দিয়েছে। এক নম্বর উইকেট কিপারের তকমা মিললেও জাতীয় দলের দরজা বারবারই বন্ধ থেকেছে তার জন্য।
ঋদ্ধি অন্যতম ঘোড়া দলের
তবে ঋষভের প্রবল ভাবে উঠে আসাকে অস্বীকার করতে না পেরেই ভারতীয় দল ঋদ্ধিকে খেলাচ্ছে না। তার প্রমাণ মিলেছে একের পর এক সিরিজে সুযোগ না মিললেও ঋদ্ধিকে টেনে নিয়ে বেরিয়েছে দল। ফলে ঋষভের প্রতি অতিরিক্ত আস্থা থাকলেও ঋদ্ধিতে যে আস্থা হারায়নি দল তা পরিষ্কার।
সামলাতে তৈরি ফ্লাইং সাহা
আর এইরকম আচমকা সিচুয়েশনে যাতে পড়তে না হয় সে কারণে ঋদ্ধিকে দলের সঙ্গে রাখা। যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেননি ঋদ্ধি এবং তিনি মুখ খুলবেন এমন আশা করা যায় না বরাবরই মুখচোরা ঋদ্ধি। আদ্যন্ত টিমম্যান হিসেবে যে ভূমিকায় তাঁকে নামানো হোক, তিনি প্রস্তুত। এটা বারবারই জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং এবারও তার অন্যথা হবে বলে মনে হয় না। তাই আরও একবার ইংল্যান্ডের মাঠে 'ফ্লাইং সাহা' (Flying Saha) দৃশ্যপট রচনা হতে চলা এখন সময়ের অপেক্ষা।