টানা বৃষ্টি চলছেই উত্তরবঙ্গে। শনিবারও তার বিরাম নেই। আর তার মাঝেই ফের পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ধসে গেল টয়ট্রেনের লাইন। আর তার জেরেই আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে খবর। লাইন মেরামত না করা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল সম্ভব নয়। লাইন যত দ্রুত সম্ভব চালু করে পরিষেবা শুরু করতে মরিয়া হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় রেখে এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা। সামনেই পুজোর মরশুম ফলে তার আগেই টয়ট্রেন চালু করে স্বাভাবিক যোগাযোগ চালু করতে চাইছে তারা। অন্যথায় পুজোর মরশুমে দার্জিলিংয়ের আকর্ষণ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে।
কয়েকদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টি হলেও শুক্রবার রাতে পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তার জেরেই টয় ট্রেনের লাইনের নীচের মাটি আলগা হয়ে যায়। যেখানে আগে ধস নেমে বেশ কিছু মাস টয়ট্রেন বন্ধ ছিল, সেখানেই রংটং এবং তিনধারিয়া স্টেশনের মাঝে ফের ধস নামে। যার ফলে শনিবার শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন যাত্রা বন্ধ করে দিতে হয়। তবে কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের মাঝে জয়রাইড অবশ্য চালু রয়েছে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত কবে থেকে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন চালানো সম্ভব হবে, তা আপাতত বলা সম্ভব নয়। লাইন মেরামতি শেষ হলেই তা চালু করে দেওয়া হবে। তবে দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত ছোট ছোট যে জয়রাইডগুলি চালু থাকছে। পর্যটকরা আসলে একেবারে হতাশ হবেন না।
আরও পড়ুনঃ পুজোয় NBSTC-র স্পেশাল ট্যুর প্যাকেজ, বুকিং শুরু ২০ সেপ্টেম্বর
তবে শুধু টয়ট্রেনের লাইনেই নয়, শুক্রবার রাতের প্রবল বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধস নামার খবর মিলেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং সিকিমগামী রাস্তায় একাধিক ধস দেখা গিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ধস নেমেছে রংটং এবং তিনধারিয়া স্টেশনের মাঝে। তাতেই টয়ট্রেনের লাইনও ভেঙে যায়। কয়েক বছর আগেও ওই একই জায়গায় ধস নেমেছিল। তার জেরে কয়েক মাস বন্ধ ছিল টয় ট্রেন পরিষেবা।
টয়ট্রেনের লাইনে ধস মাঝে মধ্যেই নামে। কিন্তু এ বার এই লাইন মেরামতির কাজে অনেক সময় লাগবে বলেই রেলকর্তাদের ধারণা। তবে পুজোর মরশুমকে মাথায় রেখে ধস সারাতে দ্রুত কাজ করতে বলা হয়েছে। তবু নতুন করে বৃষ্টি হলে কাজে সমস্যা হবে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার অবশ্য বৃষ্টি হয়নি পাহাড়ে। কিন্তু আকাশ মেঘলা। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মেরামতির কাজ কতটা দ্রুত করা যাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।