পুরভোটের পরই এবার পাহাড়ে বেজে গেল পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। সম্ভবত পুজোর পরেই পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। আর তাহলে ২০০০ সালের পর ফের ২২ বছর পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে। যদিও অন্য জায়গার মতো ত্রিস্তরীয় ভোট হবে না। দ্বিস্তরীয় ভোটের জন্যই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তবে আপাতত তা নিয়ে খুব একটা ভাবছে না পাহাড়ের শীর্ষ দলগুলি। তারা অবশেষে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় খুশি। আপাতত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ পর্যটকদের উপর নিয়মের বোঝা ভুটান সরকারের, ত্রুটি হলেই পকেট ফাঁকা
২০০০ সালে শেষবার পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। তখন পাহাড়ের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন সুভাষ ঘিসিং। তারপর তিস্তা-মহানন্দা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। সুভাষ ঘিসিংয়ের পর বিমল গুরুং জমানাতেও পুরভোট সহ অন্য ভোট দেখলেও আর পঞ্চায়েত ভোট দেখেনি দার্জিলিং পাহাড়। বিমলের প্রতাপও এখন অস্তমিত। তারপর বিনয় তামাং-অনিত থাপা জুটি জিটিএ-র দায়িত্ব নেন। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বারবার পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি উঠলেও ভোট হয়নি।
সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশন পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন পাহাড়ের পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে। পুজোর পরেই পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে সব দলই। পুরসভার শাসক দল হামরো পার্টি কিংবা জিটিএ-র শাসন ক্ষমতায় থাকা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে এই নির্বাচনকে স্বাগত জানানো হয়েছে। যা স্বাভাবিক। কারণ পরপর নির্বাচনেই তাঁরা পাহাড়ের এক দলের মৌরসিপাট্টা ভাঙতে পেরেছে। তবে বিমল গুরুং-রোশন গিরির গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও এই ভোটকে সমর্থন করছেন। জিটিএ বয়কট করলেও এখন তাঁদের দাবি জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হলে ভাল হত। তবে, এই দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হলেও তারা দল অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় ঘরে আনুন, এই জিনিস, কখনও অর্থাভাব হবে না
জিটিএ বয়কট করা বিজেপিও পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি রাজ্য আসলে কেন্দ্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে। তিনি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
রাজু বিস্তার দাবি ২০১৯ সাল থেকে তাঁদের চেষ্টাতেই পঞ্চায়েত ভোট সংঘটিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলই চাপে পড়বে বলেও তিনি বিবৃতিতে মন্তব্য করেছেন।