ছুটি কাটাতে এসে সর্বস্বান্ত
দিল্লিতে পরিশ্রম করে উপার্জন করে বাড়ি ফিরেছিলেন কয়েকদিন ছুটি কাটাতে। তার মধ্য়েই কপালের ফের সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। ছুটির আনন্দ মাটি হয়ে গেল মুহূর্তের অসতর্কতায়।
অ্য়াকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব
ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল কয়েক দফায় হাজার হাজার টাকা। উদ্বেগে পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি নিশ্চিত নন, ওই খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কি না। ফলে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাঁর। সর্বস্ব খুইয়ে গত কয়েক বছরের পরিশ্রমের টাকা জলে গিয়েছে তাঁর।
ভুতুড়ে টাকা তোলায় আতঙ্ক এলাকায়
এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হল সঞ্চিত টাকা। তাঁর এটিএম কার্ডও খোয়া যায়নি। কিংবা তাঁর কাছে কোনও ফোনও আসেনি। ফলে কীভাবে টাকা গায়েব হচ্ছে, তা বোধের বাইর তাঁর। ঘটনা ঘিরে পাড়া এবং প্রতিবেশীর মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
চাঁচলের ঘটনা
ঘটনাটি মালদহের চাঁচলের। অভিযোগ জানিয়ে প্রতারিত ব্যক্তি মালদা সাইবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতারিত আনোয়ার হোসেন মালদহের চাঁচল থানার গৌরহন্ডের বাসিন্দা। তিনি পরিযায়ী শ্রমিক। সম্প্রতি ঘরে ফিরেছিলেন।
পিছনে কিছু লোক ছিল, ঘটনার পিছনে কী তারাই !
তিনি জানান, চাঁচলের একটি এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন দুদিন আগে। তাঁর পিছনে কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল লাইনে। তারপরের দিনই সকালে আনোয়ার হোসেন ফোনে মেসেজ ঢোকে টাকা তোলার। তিনি ঘরে বসে। এটিএম কার্ড তাঁর কাছে। তাহলে টাকা তুলছে কে ?
রায়গঞ্জ থেকে উঠেছে টাকা
উদ্বিগ্ন হয়ে বিষয়টি নিয়ে চাঁচল শাখায় যোগাযোগ করেন তিনি। তিনি জানতে পারেন তার খাতা থেকে তিন দফায় মোট ২৪,৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে সেই টাকা তোলা হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের একটি এটিএম থেকে। এমনটাই তিনি ব্যাঙ্ক মারফত জানতে পারেন। পরে ওই প্রতারিত ব্যক্তি মালদা সাইবার থানায় গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দেন সাইবার থানার আধিকারিরকরা।