পুলিশের ডিজিকে দ্রুত পদেক্ষেপের আর্জি মানবাধিকার কমিশনের
এবার শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপুলিশকে তৎপর হতে নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তার মধ্যে ফের দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কি সেই তদন্ত নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ রয়েছে মানবাধিকার কমিশনের? উঠছে প্রশ্ন।
রাধাকান্ত ত্রিপাঠির আবেদনের ভিত্তিতে চিঠি কমিশনের
শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাধাকান্ত ত্রিপাঠী মামলা বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যেন হস্তক্ষেপ করে সে দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে এনএইচআরসি। ওই চিঠিতে মানবাধিকার কমিশনের তরফে চার যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের হাত খানিকটা শক্ত হবে?
বিধানসভা ভোটের পরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের আবহে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই নির্দেশের পিছনেও কিন্তু দেখছেন অনেকেই।
ঘটনার ইতিবৃত্ত
রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচিতে রাজনৈতিক হিংসা থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে চার নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাই একুশে বঙ্গ বিধানসভা ভোটে এক বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভোটে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। তৈরি হয় সিট। দায়িত্ব পেয়েই কাজে নেমে পরেন তদন্তকারীরা। প্রথমেই তলব করা হয় শীতলকুচি থানার আইসিকে। সেসময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকেও তলব করে সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল। তারপর জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে কর্মরত সিআইএসএফ – এর দুই অফিসার-সহ ৬ জন জওয়ানকেও তলব করা হয়, তবে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদের দিন হাজির হননি।
রাজ্যপালকে কালো পতাকা
রাজ্যপাল এলাকায় গেলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তিনিও ফিরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্য প্রশাসনকে। অসমে ঘরছাড়াদের নিয়েও রাজ্যকে দোষী বলে সাব্যস্ত করেন তিনি। এরপর রাজ্যপাল ও রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। এবার মানবাধিকার কমিশনের তরফেও চিঠি দেওয়াতে রাজ্যে উপর চাপ খানিকটা বাড়বে।