এবার নিশীথ ও জন নিয়ে প্রশ্ন সৌরভের
বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্ব এবং এবং জন বার্লার অবৈধ নির্মাণ নিয়ে দুই জেলা শাসককে চিঠি পাঠালেন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী। নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং অপর জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ।
দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিজেপির দুই সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার পর থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে দুজনের বিরুদ্ধে।কোচবিহারের সাংসদ নিশীথের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে তিনি নাগরিকত্ব নিয়েছেন। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জনবারলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে এবং লক্ষীপাড়া চা বাগানে সরকারি জমি দখল করে দুটি অবৈধ ইমারত তৈরি করেছেন।
জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ
সোমবার আলিপুরদুয়ার শহরে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, গত শুক্রবার ১৮ জুলাই ই-মেল মারফৎ জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলা শাসকদের দুটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠিতে জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের কাছে জানতে চেয়েছি, জন বার্লার অবৈধ নির্মানের বিষয়ে।
তৃণমূলের নয়, নাগরিকদের অভিযোগ
সৌরভ বলেন, আমরা তৃণমূল দল হিসেবে নই, নাগরিকদের অভিযোগ জন বার্লার সেই নির্মাণ অবৈধ। তাই প্রশাসন তদন্ত করে সত্যি বিষয়টি জনসাধারণের কাছে তুলে ধরুক। অন্যদিকে সৌরভ নিশীথ প্রামাণিক প্রসঙ্গে বলেন, যেই নিশীথ এনআরসিকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে, সেই নিশীথের বিরুদ্ধে জনতা অভিযোগ করছে নিশীথ ভারতের নাগরিক না। সে বাংলাদেশের নাগরিক। সৌরভ বলেন, প্রশাসন এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা তদন্ত করে জনসমক্ষে তুলে ধরুক।
কেউই মুখ খুলতে চাইছন না
এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন অভিযোগ পেয়েছি। প্রশাসনের মাধ্যেমে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিশীথের প্রসঙ্গে কোচবিহারের জেলা শাসককে ফোন করা হলে তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিন এই সাংবাদিক সম্মেলনেই সৌরভ আলিপুরদুয়ারে বিজেপির পাঁচ বিধায়ক প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপির বিধায়করা কেন্দ্র থেকে টাকা এনেই জেলার উন্নয়ন করতে পারে। ওই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে এসে বলেছিলেন আলিপুরদুয়ারকে সোনার আলিপুরদুয়ার তৈরি করবে।অথচ জেলায় বিজেপির বিধায়কদের চোখে পড়ছে না। সৌরভের অভিযোগ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা এবং নিশীথ প্রামাণিকের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।