টানা কয়েকদিন ছেলের কোনও খোঁজ নেই। নাওয়াখাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাঞ্জিলাল পরিবারের। ছেলে আটকে আফগানিস্তানে। যে দেশে ফের তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। শুরু হয়েছে খুনোখুনি। আৎ এরই মাঝে ছেলের খোঁজ নেই কয়েকদিন। তবে সেই উৎকন্ঠার অবসান ঘটল। কথা হল ছেলের সঙ্গে।
আশঙ্কা, উৎকন্ঠা ঘিরে ধরেছিল
আফগানিস্থানে থাকা ছেলের ফোন না পেয়ে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছিলেন না জয়দেব কাঞ্জিলাল এবং অঞ্জু কাঞ্জিলাল ও তাঁর পরিবার। বিশেষ করে গত মঙ্গলবার দিনভর ছেলের কোনও খবর না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাঞ্জিলাল পরিবার।
আতঙ্কের নাম আফগানিস্তান
ক্রমাগত বোমা-গুলির শব্দ আর মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যুদ্ধবিমানের ছবি টিভির পর্দায় ভেসে ওঠায় ভয়ে-আতঙ্কে মা অঞ্জুদেবী তাঁর পরিবার, তাঁদের ছেলের চিন্তায় রাতের ঘুম উবে যায়।
প্রায় দুদিন ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পর অবশ্য বুধবার মা বোন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কপিল তাঁদের আশ্বস্ত করেন। বলেন, ‘ভয় নেই। আমরা এখন আমেরিকার সেনার সঙ্গে আফগানিস্তান ছেড়ে কাতারে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: SFI-DYFI-এর রাজ্য নেতৃত্বে রদবদল করার চিন্তা CPIM-এর
ছেলে চাকরি নিয়ে বিদেশে
বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়ার চাতরা পঞ্চায়েতের সলুয়া গ্রাম। স্ত্রী ও দুই সন্তানদের নিয়ে ওই গ্রামে থাকেন পেশায় ব্যবসায়ী জয়দেব কাঞ্জিলাল। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। তাঁরা হলেন কপিল ও মেয়ে তনুশ্রী। বি এ পাস করার পর একাধিক পরীক্ষা দিয়েও চাকরি না পেয়ে শেষে একটি সংস্থায় প্রশিক্ষণ নেন।
এবং তারপর গত এপ্রিল মাসে বছর পঁচিশ বয়সী কপিল যান আফগানিস্তানে। সেখানে মার্কিন সেনার ক্যাম্পে ক্যাটারিংয়ের কাজ করেন। আফগানিস্তানে তালিবানেরা দখল নিতেই শুরু হয় গোলাগুলি।
আরও পড়ুন: মিছিলে BJP-র রূপা-অনিন্দ্য কেন? শতরূপকে তিরস্কার করল CPIM
চিন্তায় পরিবার
কপিলের মা, তাঁর পরিবার জানাযন, বুধবার বিকালের দিকে মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে ছেলের মুখ দেখি। তাঁর সঙ্গে কথা হয়। ওই সময়ে আমরা জানতে পারি যে মার্কিন সেনা ছেলেকে নিয়ে কাতারে আশ্রয় নিয়েছে।
বাড়ির এক মাত্র ছেলের খোঁজ না পেয়ে রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। নিরাপদ জায়গাতে আছে শোনার পরও এখন উৎকণ্ঠা কাটছে না। কবে বাড়ি ফিরবে তাদের ছেলে সেই আসায় দিন গুনছেন কাঞ্জিলাল পরিবার।
ফের যাবেন?
এবারে বাড়ি ফিরলে কি ফের বিদেশে পাঠাবেন ছেলেকে? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর পরিবার জানায়, ঘরের পাশে চাকরি থাকলে আর কে বলুন তো ছেলেকে কাজের জন্য বাইরে পাঠায়!