উটকো পোস্টারে আতঙ্ক
আচমকা হুমকি পোস্টারকে ঘিরে আপাত শান্ত কৃষ্ণনগর চঞ্চল হয়ে উঠল। হুমকির লক্ষ্য একাধিক পেশার লোক। হঠাৎ এমন পোস্টার কেন? কেউ জানে না।
হুমকির তালিকায় কারা?
তালিকায় রয়েছে, সাংবাদিক, পুলিশ, উকিল, চিকিৎসকরা। হুমকিতে বলা হয়েছে, সবাইকে খুন করা হবে। কিন্তু কেন? তা পরিষ্কার নয়। হঠাৎ বিভিন্ন মৃত্যু হুমকি দেওয়া পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালেও ঠিক আতঙ্ক ততটা ছড়ায়নি। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি অনেকেই মজা করছেন বিষয়টি নিয়ে।
জর্জ কোর্টের মোড়ে পোস্টার
কৃষ্ণনগর জর্জ কোটের মোড়ে একটি রাজনৈতিক দলের মুখপত্র লাগানো বোর্ডে ওই পোস্টারটি দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে কে বা কারা।
কখনকার ঘটনা
বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ প্রথম দেখা যায়, দুটি পোস্টার! যাতে হিন্দি এবং ইংরেজিতে সাংবাদিক, উকিল পুলিশ এবং চিকিৎসকদের সম্পর্কে অবোধগম্য কিছু অসম্পূর্ণ বাক্য! তবে তা যে কটুক্তি এবং মৃত্যুর হুমকি, তা এক পলক দেখলেই বুঝতে পারছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কারা দিল এমন পোস্টার, জল্পনা
অনেকেই বলছেন এটা নাকি উগ্রপন্থীদের পোস্টার ! আবার অনেকেই বলছেন কোনও পাগল বা মাতালের কাজ ! তাহলে আসল রহস্য কি? কিছুই পরিষ্কার নয়। তবু মানুষের সন্দেহ নানান রকম। এমন উড়ো পোস্টারের খবর শুনে অবশ্য থানা থেকে পুলিশ এসেছে। তাঁরাও তাঁদের ডিউটি সেরেছেন, পোস্টারের ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে।পুলিশ জানিয়েছে, গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিষয়টি। তদন্তে কোনও রকম ঢিলেমি দেওয়া হবে না।
ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের হুমকি কেন?
এই ঘটনায় করোনা পরিস্থিতিতে ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা সমাজের অত্যন্ত সম্মানীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পেশার ব্যক্তিদের যথেষ্ট চিন্তা বাড়িয়েছে। তাঁদের অনেকেই দাবি করেছেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে, প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করা হোক।
ব্যক্তিগত আক্রোশের থিওরি জোরালো হচ্ছে
পুলিশ অবশ্য প্রাথমিকভাবে মনে করছে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এটা করে থাকতে পারে। কেউ করোনা বা অন্য কোনও পরিস্থিতিতে কোনও ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও ঘটনার থেকেই এই আক্রোশ হতে পারে। যে ঘটনা যতটা সামনে আনতে চেয়েছিলেন, ততটা সামনে আসেনি। বা তা সামনে আনতে পারেননি সংবাদমাধ্যম। সাহায্য পাননি উকিল বা চিকিৎসকদের কাছ থেকে। তা থেকেই এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করচ্ছে বিদ্বজ্জনেরাও। তবে প্রকৃত দোষীকে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।