New Jalipaiguri Rohingya: রোহিঙ্গা (Rohingya) সন্দেহে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন (New Jalipaiguri Station) থেকে গ্রেফতার ৭। রেল পুলিশের হাতে তাঁরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্টেশনে তাঁদের ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় রেল পুলিশের। পরে আসল ঘটনা জানা যায়। বুধবার এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দিল্লির দিকে যাচ্ছিলেন
রেল পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত পার করে দিল্লিতে পাড়ি দেওয়ার আগে রোহিঙ্গা (Rohingya) সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ। তাঁদের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjangha Express) থেকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে অসম হয়ে রেলপথে দিল্লি পৌছনোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে সে কাজ করতে পারেননি তাঁরা। মাঝপথেই গ্রেফতার হয় ৭ জন। ঘটনার তদন্তে জি আর পি এফ ও আর পি এফ সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ক্লাস টেন পাশেই কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির দারুণ সুযোগ, আবেদন-শেষ তারিখ কবে?
নাম-পরিচয়
১.মহম্মদ জুবের, বয়স ৩৪, বাবার নাম পিতা মৃত আহমাদুর
২ .নুর ফাতেমা, বয়স ১৮, বাবার নাম জাফর আলম, বাংলাদেশ উনশিফরাং
৩. রোজিয়া, বয়স ১৮, বাবার নাম সাবির আহাম্মেদ, ক্যাম্প মুন্সিফরাং ক্যাম্প
৪ .কিসমাতারা, বয়স ১৮, বাবার নাম আবুল বাশার
৫.নুরজাহান, বয়স ১৮, বাবার নাম আদ্দুসুকুর
৬.মুজিদা, বয়স ৪০, বাবার নাম আদু মালেক, স্বামী ডাঃ সহিদ হোসেন
৭. মরিজান, বয়স ১৮, বাবার নাম সহিদ হোসেন
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে ভিজবে কয়েকটি জেলা, পড়বে ঠান্ডা
এসেছিলেন অসমের কুমারঘাটের দিক থেকে
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অসমের কুমারঘাট থেকে কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেসে চাপেন ওই ৭ জন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এন জে পি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে অন্য ট্রেনে দিল্লি যাওয়া। বুধবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে এন জে পি পৌছন তাঁরা।
সেখানেই সম্পর্ককান্তি এক্সপ্রেসে দিল্লি যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। সন্দেহজনক অবস্থায় এন জে পি স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। আর তারপর রেল পুলিশ তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করে। বুঝতে পারে কোথাও কোনও অসঙ্গতি রয়েছে।
এরপর সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চাইল্ডলাইন-এর সহযোগিতা নেওয়া হয়। এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসায় ধৃত মহিলারা জানান যে বাংলাদেশ থেকে তাদের দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্য রয়েছে। তাঁদের এই কাজে এজেন্ট হয়ে কাজ করছে ধৃত মহম্মদ জুবেইর নামে এক ব্যক্তি।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা যে তথ্য দিচ্ছেন, কথা জানাচ্ছেন বা বলছেন, তার সতয্তা যাচাই করা হচ্ছে। তাঁদের যে বা যাঁরা এনেছিল, তার ব্য়াপারেও খোঁজখবর শুরু করেছিল। এই ৭ জন ঠিক কোথা থেকে এসেছেন, তা-ও দেখছে পুলিশ।