বৃটিশ কোম্পানি Invisibility Shield Co এমন একটি শিল্ড বা ঢাল তৈরি করেছে, যার পেছনে কোনও কিছু থাকলে তা অদৃশ্য হয়ে যায়। অর্থাৎ তা দেখা যায় না। প্রতিষ্ঠান এই বিস্ময়কর প্রযুক্তির নাম দিয়েছে Invisible Shield।
অদৃশ্য শিল্ড মানে হল অদৃশ্য বর্ম। এই বর্মটি হাই রেজোলিউশনের অদৃশ্যতা প্রদর্শিত করে। এর নেপথ্যে যে বিজ্ঞান রয়েছে তা হল আলোর প্রতিফলন। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, যে সংস্থা এই শিল্ডটি তৈরি করেছে তারা এখনও ক্রাউডফান্ডিং পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এমন একটি দুর্দান্ত কাজ করে দেখিয়েছে।
অদৃশ্য শিল্ড আসলে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের প্যানেল যার জন্য কোনও বাহ্যিক শক্তি বা বৈদ্যুতিক চার্জের প্রয়োজন হয় না। এটি অন্যান্য প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শক্তিশালী এবং জটিল অপটিক্যাল লেন্সের পরিবর্তে স্মার্টভাবে আলো প্রতিফলিত করে। যার কারণে পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে অদৃশ্য মনে হয়।
অদৃশ্য ঢালের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে অস্পষ্ট দেখা যায়। প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, ঢালের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটিকে ৫ মিটার কিংবা ১০০ মিটার দূর থেকেও দেখা হোক না কেন, তাঁকে দেখা যাবে না।
এই ঢালটি বিজ্ঞানের লেন্টিকুলার প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে কাজ করে। এটি একটি ত্রিমাত্রিক ছবির মতো, যদি কেউ এটিকে এক কোণ থেকে দেখেন তাহলে যা দেখতে পাবেন, অন্য কোণ থেকে দেখতে অন্যকিছু দেখতে পাবেন।
দর্শক যখন দূর থেকে তাকান, তখন ঢালের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে দেখতে পান না। তবে ব্যক্তির পিছনে উপস্থিত পটভূমির দৃশ্য দেখা যায়। এই প্রকল্পটি ৬ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত ক্রাউড ফান্ডিং-এর মাধ্যমে ১.৬২ কোটি টাকারও বেশি পেয়েছে।
এটি লক্ষণীয় যে কয়েক বছর আগেও এই জাতীয় জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু সমস্যা ছিল। পরবর্তী সময় সেগুলিকে আর দেখাও যায়নি। তাই এবার এই ধরনের শিল্ড বানাল Invisibility Shield Co।
আরও পড়ুন - হাঁসখালিতে 'হাথরস' বিভীষিকা? হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
সংস্থাটি এখনও পর্যন্ত ২৫টি অদৃশ্য শিল্ড তৈরি করেছে। তারা আরও অর্থ সংগ্রহ করছে যাতে এমন শিল্ড আরও বানানো যায়। ছোটটি যা ১২.২ ইঞ্চি লম্বা এবং ৮.৩ ইঞ্চি চওড়া৷ এর দাম ৬৪ ডলার অর্থাৎ ৪,৮৫৮ টাকা। আর বড়টি ছোটটির চেয়ে প্রায় তিনগুণ বড়। দাম ৩৯১ ডলার, অর্থাৎ ২৯,৬৭৮ টাকা।