Pakistan PM Imran Khan May Resign: পাকিস্তানে ইমরান (Pakistan PM Imran Khan) সরকারের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে পারেন ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan)। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ওআইসি সম্মেলনের পর ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan)-কে পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া (Pakistan Army Chief General Qamar Javed Bajwa)।
সব পথ প্রায় বন্ধ
ইমরান (Pakistan PM Imran Khan)-এর আর কোনও পথ খোলা নেই। সংখ্যার খেলায় ইমরান পিছিয়ে আছেন ২৪ জন সংসদ সদস্যের বিদ্রোহী মনোভাবের জন্য। অন্যদিকে, বিদ্রোহী সংসদ সদস্যদেরও সুপ্রিম কোর্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং সর্বোচ্চ আদালত সংসদের পথ দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: Pedicure থেকে ইনফেকশন, পার্লারকে ১৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan)-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী ফ্রন্ট। অনাস্থা প্রস্তাবে দ্রুত ভোটের দাবি জানান। এখন দেখার বিষয় ২৮ মার্চ ইমরান (Pakistan PM Imran Khan) অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হন নাকি মধ্যপন্থা অবলম্বন করে পদত্যাগ করে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী করেন।
আমরা যদি পাকিস্তানের ক্ষমতার পরিসংখ্যান দেখি, আগে ইমরান (Pakistan PM Imran Khan)-এর কাছে ১৭৬ এমপির সমর্থন ছিল। কিন্তু ২৪ এমপির বিদ্রোহের পরে এখন মাত্র ১৫২ এমপি ইমরান সরকারের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে ইমরান খান ১৭২-এর চেয়ে অনেক পিছিয়ে।
খবরে বলা হয়েছে, কনফারেন্স অফ দ্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (Conference of the Organization of the Islamic Cooperation) ওআইসি (OIC) সম্মেলন শেষ হওয়ার পর ইমরানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে বলা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী ওআইসি সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ, বুধবার শেষ হবে।
এমন পরিস্থিতিতে জল্পনা চলছে শুক্রবার জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হওয়ার আগেই ইমরান খানকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি না? আপনাদের বলে রাখি যে সেনাবাহিনী যতদিন চাইবে, ততদিন পাকিস্তানের সিংহাসনে থাকতে পারা যাবে এটা কারও কাছেই গোপন নয়।
লবিং কাজ করেনি
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জেনারেল বাওয়াজা এবং সেনাবাহিনীর তিন সিনিয়র লেফটেন্যান্ট জেনারেলের বৈঠকে ইমরানের রাজনৈতিক ভাগ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইমরানকে বেশি সময় দেওয়া ঠিক নয় বলে মত প্রকাশ করেন সবাই। বলা হয়, সাবেক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ ইমরানকে রক্ষা করতে জেনারেল বাওয়াজার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কিন্তু এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে এই তদবিরের কোনো প্রভাব পড়েনি।
বাজেভাবে ঘেরা ইমরান
ইমরান খানের সরকার অবিশ্বাসের ঘূর্ণিতে জড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীরা বছরের পর বছর ধরে ইমরানকে সিংহাসন থেকে সরানোর জন্য প্রচার চালাচ্ছে। তবে প্রথমবারের মতো সাফল্য পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ ইমরানের শিবিরের প্রায় দুই ডজন এমপিও তাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
২৪ এমপির বিদ্রোহ
ইমরান খান ১৭৯ জন সংসদ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু বলা হচ্ছে যে তাঁর ২৪ জন সাংসদ আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির নির্দেশে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া মাওলানা ফজল-উর-রহমানের সঙ্গে রয়েছেন ৫ জন সংসদ সদস্য।