হলুদকে অনেকসময় ‘মিরাকল হার্ব’ বা অলৌকিক ভেষজ বলা হয়ে থাকে। হলুদ আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটা মশলা, রোজকার রান্নায় হলুদ না দিলে রান্নাটাই যেন কেমন অসম্পূর্ণ মনে হয়।
শুধু রান্নার কাজেই নয়, হলুদের আরও অনেক গুণই আছে। এবার সেই হলুদের প্রেমে পড়লেন স্বয়ং অভিনেত্রী জয়া আহসানও।
বাংলাদেশ হোক বা ভারত, দুই দেশেই সমান জনপ্রিয় জয়া আহসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি বেশ সক্রিয়। প্রায়শই ফ্যানেদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন জীবনের নানা ঘটনা।
এবার নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ঝুড়িভর্তি হলুদ নিয়ে ছবি দিয়ে ভক্তদের চমকে দিয়েছেন জয়া।
করোনায় ঘরবন্দি সময়ে ছাদ বাগানে গাছের পরিচর্যা করেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই ছাদ বাগানে সবজি ও ফলের ছবি পোস্ট করেন জয়া।
ডালাভর্তি কাঁচা হলুদের ছবি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সদ্য তোলা সোনালী রঙা হলুদের মনমোহিনী ঘ্রাণ…’
জানা গেছে, ঢাকার ইস্কাটনের বাড়িরর ছাদে হলুদ গাছ লাগিয়েছিলেন জয়া। শুধু হলুদই নয়, এই বাগানে রয়েছে থাই বেগুন, বরবটি, শিম, লেবু, মাল্টা, ডুমুর, বেদানা, বরই, পেয়ারা, সফেদা, বেরি, কামরাঙা ও ভেষজের নানা রকম গাছ। রয়েছে বেশ কিছু বিদেশি সবজি, ফল ও ফুলগাছও।
ইতিমধ্যে হলুদ চাষী জয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন নেটিজেনরা।
একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘একজন সফল হলুদ চাষী জয়া আপু’
আরেকজন লিখেছেন, ‘জয়া, আপনার কিছু দিক খুব ভালো লাগে। বাগান করা, প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা। অভিনেত্রীর পরিচয় ছাপিয়ে আপনি হয়ে ওঠেন একজন সাধারণ মানুষ‼ কাঁচা হলুদের আভার মতো ঝলমলে লাগছে।’
সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছেন জয়া। মাকে নিয়ে লন্ডনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি।
এবার একটি বিজ্ঞাপণে তিনি কাজ করবেন বলে জানা গেছে। তারপর শুরু করবেন নতুন সিনেমার শুটিং। জয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘বিনিসুতোয়’। এই সিনেমায় তিনি জুটি বেঁধেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অতনু ঘোষ।
কিছুদিন আগেই পশু প্রেমের জন্য প্রাণবিক বন্ধু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন জয়া আহসান।