Advertisement

Dev, Jeet , Ankush Exclusive: টলি সুপারস্টারদের টক্কর পুজোয়! ইন্ডাস্ট্রির লাভ না ক্ষতি? জানালেন দেব, জিৎ, অঙ্কুশ

Dev, Jeet , Ankush: আগামী ১০ অক্টোবর একই সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে একাধিক বাংলা ছবি (Durga Puja Movie Releases)। একসঙ্গে এতগুলো ছবি কি আসলে ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাভ না ক্ষতি ডেকে আনছে? আজতক বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন দেব (Dev), জিৎ (Jeet) ও অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra)। 

টলিউড সুপারস্টার দেব, জিৎ ও অঙ্কুশ টলিউড সুপারস্টার দেব, জিৎ ও অঙ্কুশ
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 08 Oct 2021,
  • अपडेटेड 8:39 PM IST
  • গত কয়েক বছর ধরে পুজোয় ছবি রিলিজ একটা ট্রেন্ড।
  • ১০ অক্টোবর একই সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে একাধিক বাংলা ছবি।
  • একসঙ্গে এত ছবি ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাভ না ক্ষতি ডেকে আনছে?

করোনা অতিমারীর (Covid-19 pandemic) জন্য বিনোদন জগতে বিপুল প্রভাব পড়েছে। এদিকে পাইপলাইনে রয়েছে এতগুলি ছবি। সবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছিল কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে ফের অশনি সংকেতের ন্যায় হাজির হল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। সিনেমা হলের (Cinema Halls) পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত শ্যুটিং (Shooting)... বর্তমানে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। বিপদ এখনও কাটেনি। তবু প্রশ্নের মুখে ইন্ডাস্ট্রি (Tollywood Industry)। তাই ঝুঁকি নিয়েই ফ্লোরে ফিরছেন টলিপাড়ার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। একে একে শুরু হয়েছে স্থগিত থাকা বা পিছিয়ে যাওয়া ছবিগুলির শ্যুটিং। 

পুনরায় খুলেছে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স। পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক না হলেও ধীরে ধীরে হলমুখী হচ্ছেন দর্শকেরা।দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আমেজে গা ভাসিয়েছে বাঙালি। আরও একাধিক প্ল্যানের সঙ্গে পুজোয় ছবি রিলিজ একটা ট্রেন্ড। গত কয়েকবারের ট্রেন্ড অনুযায়ী ফেস্টিভ মুডে বাঙালিকে হলমুখী করতে ভিড়ে সামিল হন একাধিক নির্মাতা ও প্রযোজনা সংস্থাগুলি। আগামী ১০ অক্টোবর একই সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে একাধিক বাংলা ছবি (Durga Puja Movie Releases)। একসঙ্গে এতগুলো ছবি কি আসলে ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাভ না ক্ষতি ডেকে আনছে? আজতক বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন দেব (Dev), জিৎ (Jeet) ও অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra)। 

আরও পড়ুন

 

পুজোতে মুক্তি পাচ্ছে দেবের দুটি ছবি। একটি তাঁর অভিনীত 'গোলন্দাজ' (Golondaaj) এবং অন্যটি তাঁর প্রযোজিত 'হবু চন্দ্র রাজা গবু চন্দ্র মন্ত্রী' (Hobu Chandra Raja Gobu Chandra Mantri)। যদিও প্রথমটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও দ্বিতীয়টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে টেলিভিশনে। 

দেব জানালেন, "এই প্রতিযোগিতা থেকে গত তিন -চার বছর ধরে আমি নিজেকে আলাদা করে নিয়েছি। আমি যেই ধরণের কাজ করছি, অন্য কারও সঙ্গে কোনও মিল নেই। আমার চেষ্টা থাকে বাংলায় যেই গল্পগুলো আগে বলা হয়নি, কেউ সাহস করেনি, সেই গল্পগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরার।" 

Advertisement

 

জিৎ -এর 'বাজি' (Baazi) মুক্তি পাচ্ছে পুজোয়।  সাধারণত ভিড়ে না মিশে দুর্গাপুজোয় ছবি মুক্তি এড়িয়ে ঈদে রিলিজ করে জিৎ-র ছবি। কিন্তু এইবার কোভিড পরিস্থিতির জন্য সেই সময় সিনেমা হল বন্ধ থাকায়, ছবি মুক্তির তারিখও পিছিয়ে যায়। একই প্রশ্নের উত্তরে জিৎ -এর গলায় ইতিবাচক সুর। তাঁর কথায়, "অবশ্যই প্রভাব পড়বে একসঙ্গে এতগুলো ছবি মুক্তির। তবে সেটা বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি এবং বিকাশ ঘটাবে বলে আমার মনে হয়।" 

 

 

অঙ্কুশ হাজরা অভিনীত 'এফআইআর' (FIR) মুক্তি পাচ্ছে একই দিনে। এতে কি সুপারস্টারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হচ্ছে? অঙ্কুশের মতে, "এখন আমাদের সকলের বক্তব্য মানুষ যেন হলমুখী হয়। আমরা যে কটা হলে ছবিটা রিলিজ করবো তার আশেপাশে হয়তো অন্য সিনেমা লাগানো হবে না। যেই ছবি যেই সেক্টরে মুক্তি পাবে, আমি চাইবো দর্শকরা সেখানে যাক।" 

তিনি আরও যোগ করলেন, "সকলের ছবির বাজেট তো এক নয়। তাই ছবির টাকাটা যেন উঠে আসে, প্রযোজক যেন লাভের মুখ দেখে, এই চাহিদাটা সকলেরই থাকে। যদিও এখন ছবি থেকে টাকা তোলার অনেক উপায় আছে, স্যাটেলাইট, ডিজিটাল, মিউজিক ইত্যাদির রাইটস আছে। তবুও ছবি মানেই বড় পর্দা। তাই প্রেক্ষাগৃহকে এতটা প্রাধান্য দেওয়া হয়। দর্শকদের এই অভ্যাস্টা যাতে চলে না যায়, ডিজিটাল যুগে। তাই চাই সব মিলিয়ে বাংলা ছবির যেন ভাল হয়।" 

বলাই বাহুল্য পুজোয় সব ঠিক থাকলে, হতে চলেছে ধামাকা। এখন অপেক্ষা, ভয় কাটিয়ে বাংলা ছবিকে ভালোবেসে কতটা হলমুখী হন দর্শকেরা, সেটি দেখার। 
  
 

Read more!
Advertisement
Advertisement