এক-দু'টো নয়। পর পর ২২টা চড়। লখনউয়ে যেন থাপ্পড়ের শব্দ থামতেই চাইছে না! উত্তরপ্রদেশের রাজধানীতে থাপ্পড় গার্লের হাতে বিরাশি সিক্কার চড় খেয়েছেন এক গাড়িচালক। তাঁর নাম সাহাদত আলি। তিনি দাবি করেছেন, ওই মহিলাকে গ্রেফতার না করা হলে তিনি আদালতে যাবেন।
নিজের প্রতিজ্ঞায় অটল
এ ব্য়াপারে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁর হুঁশিয়ারি, ওই অভিযুক্তকে তিনি জেলে পাঠাবেনই। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তখন তিনি জানান, ওই মহিলা এখন এই ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে চাইছেন। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন।
প্রিয়দর্শিনী
অভিযুক্ত মহিলার নাম প্রিয়দর্শিনী যাদব। তিনি ওই যুবককে একর পর এক চড় মেরেছেন বলে অভিযোগ। সবার সামনে তিনি চড় মেরেছিলেন। প্রিয়দর্শিনীর দাবি, পুলিশ নিজের কাজ ঠিক করে করলে ওই মহিলা থাপ্পড় গার্ল হয়ে উঠতেন না।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
লউনউ পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন সাহাদত আলি। তার দাবি, পুলিশ ওই মহিলার পক্ষে রয়েছে। আর তাই তাঁর তরফে কোনও তদন্ত করছেন না। পুলিশ আসলে আমার মামলাকে দুর্বল করে তুলছে।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এই কাজ যদি তিনি করতেন, তা হলে হয়তো এতক্ষণে তিনি জেলে চলে যেতেন। পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলত।
২২ চড়
সাহাদত আলির অভিযোগ, তাঁকে ওই মহিলা ২২ বার চড় মেরেছে। আমি মহিলাদের সম্মান করি। আর তাই তার ৩০ চড়ও খেয়ে নেব। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দাবি করেন, ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৫ দিন। তবে এই ঘটনায় ওই মহিলাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছেন, সব মিথ্যে। তার সঙ্গে আমার কখনও দেখা হয়নি।
সমঝোতা করতে চান
প্রিয়দর্শিনী এখন সমঝোতা করতে চান বলে জানা যাচ্ছে। লখনউয়ে গাড়িচালক পেটানোর পর এখন তিনি সব মিটমাট করে নিতে চান। দাবি করেন, পুলিশ নিজের কাজ করলে তাঁকে এই কাজ করতে হত না। আর তাঁকে থাপ্পড গার্ল হয়ে উঠতে হত না।