পশ্চিম বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটযুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধ এবার যেন আকাশপথেও। নদীয়ার শান্তিপুর ঘুড়ি পাড়ায়, চলছে তারই প্রস্তুতি।
জল, স্থল, আকাশ বাতাস সবেতেই চলছে নির্বাচনী প্রচার। তারই ছোঁয়া লেগেছে নদীয়ার শান্তিপুর নিশ্চিন্তপুর ঘুড়ি পাড়ার ব্যবসাতেও।
রথ, বিশ্বকর্মা পূজার মতো ভোটেও বিরাম নেই তাঁদের। কখনও মোদীর, কখনও বা মমতার মুখ।
'আর নয় অন্যায়' বা 'বাংলা তার ঘরের মেয়েকেই চায়', 'খেলা হবে' বা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানও থাকছে তাতে।
পদ্ম হোক বা ঘাসফুল, হাত চিহ্ন হোক বা কাস্তে হাতুড়ি তারা সবটাই লক্ষ্য করা গেছে ঘুড়ি শিল্পীদের শিল্প নৈপূর্ণতায়।
এর সঙ্গে রয়েছে ধূর্ত ব্যবসায়ীদের মুনাফা অর্জনের সু-কৌশল।
সাধারণ ঘুড়ি চার থেকে পাঁচ টাকা দামে পাওয়া যায়। তবে এই ঘুড়ি কিন্তু দশ টাকার নিচে মিলবে না।
সাধারণ ঘুড়ি চার থেকে পাঁচ টাকা দামে পাওয়া যায়। তবে এই ঘুড়ি কিন্তু দশ টাকার নিচে মিলবে না।
নিশ্চিন্তপুরের অভিজিৎ পালের কথায়, "প্রথমে তিন দলেরই গোটা পঞ্চাশেক ঘুড়ি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন! এরপর থেকে শুরু হয় অর্ডার আসা। প্রায় ৩০০ ঘুড়ি বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরও যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া মিলেছে। এখনও তো বাকী বেশ কিছুদিন!"
লকডাউনের আর্থিক উপার্জনের ঘাটতির কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রথমে তাঁরা কোনও বিশেষ দলের ঘুড়ি বেশি পরিমাণে তৈরি করেননি। বিজেপি, তৃণমূল সংযুক্ত মোর্চা দলের সমান পরিমাণে প্রস্তুত করেছিলেন। তবে, এরপর অর্ডার অনুযায়ী ঘুড়ি তৈরি করবেন তাঁরা।