বুধবার নন্দীগ্রাম থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য মঙ্গলবারই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা। আপাতত ৩দিন এখানেই থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর নন্দীগ্রামে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী থেকে একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠলেন মমতা।
গত ডিসেম্বরেই বোলপুর থেকে কলকাতায় ফেরার পছে বল্লভপুরডাভা গ্রামের শেষপ্রান্তে হঠাৎ করেই চায়ের দোকানে ঢুকে পড়তে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে রান্না করতেও দেখা গিয়েছিল মমতাকে। গল্প করতে করতে চা'ও খান। এবারও নন্দীগ্রামের বড়তলায় দলীয় জনসভা শেষে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়তে দেখা গেল তৃণমূলনেত্রীকে।
দোকানে ঢুকেই চা বানানোর কাজে হাত লাগান তৃণমূলনেত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রকে এভাবে চা বানাতে দেখে তখন দোকানে ভিড় জমে গিয়েছে। সকলেই চাইছেন সেই মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে।
চা তৈরি করার পর কাপে করে নিজে হাতেই সকলকে তা পরিবেশন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেও চা খান।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের দোকানে দেখে উচ্ছ্বাস সামলে রাখতে পারছিলেন না সেই চা-দোকানের মালিক। মমতা কথা বলেন দোকান মালিকের সঙ্গে। শোনেন তাঁদের সমস্যার কথা। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।
আগেও অবশ্য বহুবার রাস্তার পাশে দোকানে দাঁড়িয়ে চা খেতে বা আদিবাসী গ্রামে ঢুকে গল্প জুড়তে দেখা গেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
বড়তলায় তার সভা শেষে মমতা এদিন ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হরি মন্দিরে যান। এখানে তিনি প্রথমে পুজো-পাঠ করেন। এর পরে পাশের দুর্গা মন্দিরে গিয়েও পুজো করতে দেখা যায় মমতাকে। সেখান থেকে খানিক দূরে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েও প্রার্থনা করেন তৃণমূলনেত্রী। এরপরে নন্দীগ্রামের মাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী।
মাজারে গিয়ে চাদর চড়ান তৃণমূলনেত্রী। বুধবার নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী।