একজন ব্যাটসম্যান, অপর জন বোলার। একজন এখনও খাতায় কলমে বাইশ গজে আছেন। অপরজন বিদায় জানিয়েছেন ক্রিকেটকে। তবে দুজনের মধ্যে ক্রিকেট ছাড়াও আরও একটি বিষয়ে রয়েছে অদ্ভূত মিল। তাঁরা দুজনেই একইদিনে যোগ দিলেন রাজনীতিতে। রাজনীতির ময়দানে অবশ্য তাঁরা একে অপরের প্রতিপক্ষ। সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। বিকেলে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন অশোক দিন্দা (Ashoke Dinda)। এর আগেও ক্রিকেটারদের দেখা গিয়েছে রাজনীতির ময়দানে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন এই দুজনও। দেখে নেওয়া যাক মনোজ ও অশোকের ক্রিকেট থেকে রাজনীতির সফর।
২০০৭-০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক সিরিজে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় মনোজ তিওয়ারির। যদিও সেই সিরিজে একমাত্র ইনিংসে মাত্র ২ রান করেন তিনি।
এরপর ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফের ভারতীয় দলে সুযোগ পান মনোজ। তারপর ইংল্যান্ড সফরেও দলে ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছে মনোজ।
বাংলার হয়েও বারেবারে ঝলসে উঠেছে তাঁর ব্যাট। বাংলার দলের অধিনায়কের দায়িত্বও সামলেছেন মনোজ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
আইপিএলেও সাফল্যের সঙ্গে পারফরম্যান্স দিয়েছেন মনোজ। খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিল, রাইজিং পুনে সুপার জায়েন্ট এবং কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মতো দলের হয়ে। ২০১২ সালে নাইট রাইডার্সের হয়ে উইনিং রান এসেছিল মনোজের ব্যাটেই।
আর এবার ক্রিকেটের সবুজ মাঠের পাশাপাশি জনসেবায় নিযুক্ত হতে রাজনীতি ময়দানেও পা রাখলেন মনোজ তিওয়ারি। এখন দেখার বাইশ গজের মতো এখানেও বিপক্ষের বিরুদ্ধে ছক্কা হাঁকাতে পারেন কি না।
অন্যদিকে বল হাতে বিভিন্ন সময় সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন অশোক দিন্দা। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় দিন্দার। সেই ম্যাচে সনৎ জয়সূর্যর উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০১০-এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেট খেলেন তিনি। সেই বছর এশিয়া কাপেও সুযোগ পেয়েছিলেন দিন্দা।
পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও বিভিন্ন সময় বিপক্ষকে চাপে ফেলেছে তাঁর বোলিং। ২০১৭-১৮ সালে রনজি ট্রফিতে বাংলা দলে সবচেয়ে বেশি উইকেট ছিল তাঁরই ঝুলিতে।
অন্যদিকে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাইজিং পুনে সুপার জায়েন্ট, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন তিনি।
তবে ইতিমধ্যেই অবশ্য ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দিন্দা। আর এবার যোগ দিলেন রাজনীতিতে। এখন দেখার ক্রিকেট মাঠের মতো রাজনীতির ময়দানেও প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারেন কি না।