শীতের সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে কিছু মুখরোচক খেতে ইচ্ছে করলেই অনেকের মনে পড়ে যায় ক্রিসপি কর্নের কথা। রেস্তোরাঁয় গেলে এই পদটি প্রায়ই অর্ডার করা হয়। কিন্তু বাড়িতে বানাতে গেলে বেশির ভাগ সময়ই সেই মুচমুচে স্বাদটা পাওয়া যায় না। ঠিক কোন পদ্ধতিতে বানালে কর্ন ঠিকঠাক ক্রিসপি হবে, তা নিয়েই ভাবনায় পড়েন অনেকেই।
আসলে ক্রিসপি কর্ন তৈরি করার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে মশলার সঙ্গে মেশানোর অনুপাত ও ভাজার কৌশলে। উপকরণগুলি ঠিক ভাবে মাখানো না হলে কর্ন নরম হয়ে যায়। আবার ভাজার সময় আঁচ ঠিক না থাকলেও কাঙ্ক্ষিত মুচমুচে ভাব আসে না।
দু’কাপ কর্ন আগে অল্প নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে ঠান্ডা করে রাখা জরুরি। কর্নে আর্দ্রতা বেশি থাকলে মশলা আটকায় না এবং ভাজার সময় বেশিরভাগটাই কড়াইয়ে লেগে যায়।
এরপর বড় একটি পাত্রে সেদ্ধ কর্ন রেখে তার মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার, চালের গুঁড়ো এবং সামান্য ময়দা মেশাতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে লঙ্কাগুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো ও নুন। এগুলি ভালো করে মেখে নিলে কর্নের উপর সমান ভাবে মশলা ও শুকনো মিশ্রণ লেগে থাকবে।
পরের ধাপে একটি বড় ছাঁকনিতে কর্নগুলি নিয়ে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এতে অতিরিক্ত ময়দা ও গুঁড়ো আলাদা হয়ে যাবে। অতিরিক্ত মিশ্রণ লেগে থাকলে কর্ন ভাজার সময় একসঙ্গে দলা পাকিয়ে যায়। কড়াইতে পর্যাপ্ত তেল গরম হলে কর্ন ছাড়তে হবে। মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে লালচে হওয়া পর্যন্ত ভাজা দরকার। এ সময় কর্ন বেশি না নেড়ে দিলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
ভাজা হয়ে গেলে কর্নগুলো টিস্যু পেপারে রেখে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপরই শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ—মেশানোর পালা। পেঁয়াজকুচি, ধনেপাতাকুচি, চাটমশলা, লেবুর রস, লঙ্কাগুঁড়ো ও গোলমরিচ ছড়িয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে।
অল্প পরিশ্রমে তৈরি এই পদটি সন্ধ্যার নাস্তায় বা বিশেষ কোনো জমায়েতে পরিবেশন করলে প্রশংসা মিলবে নিশ্চিত। রেস্তোরাঁ না গিয়েও বাড়িতেই তৈরি হবে মুচমুচে, সুস্বাদু ক্রিসপি কর্ন।