একাধিক খাবারে কারিপাতা দেওয়া হয়। এই পাতা কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। কারি পাতায় প্রচুর পুষ্টি থাকে। দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে কারি পাতা প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। বাঙালি খাবারেও এখন চকারি পাতার প্রচলন বেড়েছে।
এই পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন এ, বি, সি, ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ফাইবার, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এই পাতায়। যা শরীরের নানা সমস্যা দূর করে।
কারি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে কোলেস্টেরলের জারণ রোধ করে। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল তৈরি হতে দেয় না এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। যা হার্টকে সুস্থ রাখে।
কারি পাতা খেলে পাচনতন্ত্রও সুস্থ থাকে। শরীর থেকে ফোলাভাব, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
কারি পাতায় উপস্থিত ট্যানিন যৌগ, ভিটামিন এ, সি সকল বিষাক্ত পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে। এগুলো এনজাইমের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা লিভারের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। লিভার সুস্থ থাকে।
কারি পাতা নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয় না। যেহেতু কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যা চোখের নানা ধরণের রোগ দূরে রাখে। ছানি, দৃষ্টিশক্তির ত্রুটি ইত্যাদি প্রতিরোধ করা যায়।
যদি আপনার চুল পড়ে, খুশকি, মাথার ত্বকে চুলকানি, ফোঁড়া এবং ব্রণ থাকে, তাহলে আপনার কারি পাতা খাওয়া উচিত।
এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা চুল এবং মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে। এই পাতা চুলকে শক্তিশালী করে, চকচকে করে তোলে।
কারি পাতা খাওয়া বা কারি পাতার জল পান করলে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। হজমে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
নিয়মিত কারি পাতা খেলে শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে এবং সুগার বেশি বা কম থাকে তাহলে কারি পাতা চিবানো উচিত।