অর্শরোগ বা পাইলস (হেমোরয়েড) অত্যন্ত পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা। মলদ্বারে জ্বালা-যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে ওঠা ইত্যাদি অর্শ্বরোগের সাধারণ উপসর্গ। কোষ্ঠকাঠিন্য, ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার অভ্যাস, স্থূলতার কারণে এই রোগ বাড়তে থাকে। ওষুধ, অস্ত্রোপচারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার সমাধান করা যায়। আসুন সেই উপায়গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মাখিয়ে যেখানে ব্যথা হচ্ছে সেখানে লাগান। শুরুতে হয়তো খুব জ্বালা করবে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর এই জ্বালা ভাব কমে যাবে। এই পদ্ধতিটি দিনে অন্তত তিন-চারবার কাজে লাগিয়ে দেখুন। অভ্যন্তরীণ (ইন্টারনাল) অর্শরোগের জন্য এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে অন্তত দু’বার খেয়ে দেখুন।
বরফ: ঘরোয়া উপায়ে অর্শ নিরাময় করার অন্যতম উপাদান হল বরফ। বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং যন্ত্রণা বোধ কমিয়ে দেয়। একটি কাপড়ের মধ্যে কয়েক টুকরো বরফ দিয়ে পুটুলি করে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। এ ভাবে দিনে অন্তত তিন-চারবার বরফ ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।
আদা এবং লেবুর রস: বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্শরোগের অন্যতম আরেকটি কারণ হল ডিহাইড্রেশন। লেবু, আদাকুচি এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিনে অন্তত দু’বার খান। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে অর্শের সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এ ছাড়া দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল খেলেও এই সমস্যায় অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
অলিভ অয়েল: প্রতিদিন এক চামচ জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল খেয়ে দেখুন। এটি শরীরের প্রদাহ দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে। অর্শরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে জলপাইয়ের তেল অত্যন্ত কার্যকরী!
অ্যালোভেরা: অর্শের সমস্যা যদি বাহ্যিক (এক্সটারনাল) হয়, সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে আলতো করে মালিশ করুন। ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দিতে অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত কার্যকরী!