শীতকাল যত এগিয়ে আসে, ঠাকুরমার তৈরি সুস্বাদু রান্নার সুবাস প্রতিটি ঘরে ভেসে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে ঘি, গুড় এবং শুকনো ফল দিয়ে তৈরি লাড্ডু।
এই বিশেষ লাড্ডুগুলি কেবল সুস্বাদুই নয়, আপনাকে সুস্থও করে তোলে। পুরনো প্রজন্মের লোকেরা সবসময় বলে আসছেন যে 'শীতে যদি তুমি সঠিক লাড্ডু খাও, তাহলে তোমার আর ওষুধের প্রয়োজন হবে না!'
তাহলে আসুন জেনে নিই এমন ৫টি পুষ্টিকর লাড্ডু সম্পর্কে যা শীতকালে আপনার শরীরকে শক্তিশালী রাখে এবং রোগ থেকে দূরে রাখে।
১. তিলের লাড্ডু: সাদা তিলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, আয়রন, প্রোটিন এবং ফসফরাস থাকে। এগুলি শরীরকে ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
২. তিসির বীজের লাড্ডু: ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পর্যন্ত, তিসির বীজ একটি বহুমুখী উপাদান। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে। বাদাম, কাজু এবং পেস্তার মতো শুকনো ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৩. গণ্ডের লাড্ডু: গণ্ডের লাড্ডু (ভোজ্য আঠা) শীতের প্রিয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি দিয়ে তৈরি লাড্ডুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলি কেবল হাড়কেই শক্তিশালী করে না, বরং জয়েন্টের ব্যথা এবং দুর্বলতাও দূর করে।
৪. মেথির লাড্ডু: মেথি কেবল একটি মশলা নয়, লাড্ডুর সঙ্গে একটি দুর্দান্ত সংযোজনও। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন শরীরকে শক্তিশালী করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
৫. গুড় এবং শুকনো আদার লাড্ডু: গুড় এবং শুকনো আদার (শুকনো আদা) মিশ্রণ শীতকালে ওষুধের মতো। একসঙ্গে, তারা শরীরকে উষ্ণ রাখে, কাশি এবং সর্দি প্রতিরোধ করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।