আমলকীকে, মানুষের উপকারী বন্ধু বলা যেতে পারে। কাঁচা বা রস করে, যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, উপকার মিলবে। জানুন আমলকীর উপকারিতা কী কী।
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। কেউ যদি প্রতিদিন এটি খান, তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। আমলকীতে উপস্থিত ভিটামিন সি অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রোগকেও শরীর থেকে দূরে রাখে। যে রোগে চর্বি, কোলেস্টেরলের মতো নোংরা পদার্থ রক্তনালিতে জমতে শুরু করে।
মুখে ঘা হলে আমলকী খুবই উপকারী। যা মাঝে মধ্যে এই সমস্যা হয়, সেই ব্যক্তিদের আমলকীর রস খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি আমলকী খেলে দাঁত ও মাড়ি মজবুত হয়।
আমলকী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে আমলকী খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।
আমলকী ক্রোমিয়ামও পাওয়া যায়, যা খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমলকী খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী।
দীর্ঘমেয়াদি সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বরের সমস্যার পথ্য হিসেবেও আমলকী সমান কার্যকর। এটি টিউবারকিউলোসিস (টিবি) রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয়।
আমলকীতে এমন উপাদান রয়েছে, যা রক্ত পরিষ্কার করতে পারে। মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করতে এটি দারুণ কাজে লাগে। আমলকী খেলে বা ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করলে, ত্বক শুধু দাগহীন নয়, চকচকেও হয়।
আমলকীতে অ্যান্টি -এজিং উপাদান রয়েছে, যা বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া খুশকি দূর করতে আমলকী রস দারুণ উপকারী।
ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা থেকে মুক্তি পেতেও আমলকী অব্যর্থ। আমলকীতে পলিফেনল থাকায় তা ক্যানসারাস কোষের বাড়বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়।