দৈনন্দিন রান্নাবান্না করতে গেলে অনেক সময়ই দুর্ঘটনার স্বীকার হন অনেকেই। গরম কিছুর ছেঁকা লেগে সেই স্থানে ফোসকা পড়ে যায়। সেই দগ্ধ জায়গায় পরবর্তীকালে আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেজন্যেই ছেঁকা লাগা বা পোড়া স্থানে সেই মুহূর্তেই যত্ন নেওয়া দরকার। জেনে নিন পুড়ে গেলে সেই মুহূর্তে ঠিক কী করবেন। এই ঘরোয়া উপায়গুলির ফলে তাৎক্ষণিক জ্বালা-পোড়াও কমবে।
টুথপেস্ট
টুথপেস্ট শুধুমাত্র দাঁত মাজার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় না। পোড়া স্থানে টুথপেস্ট লাগানো সবচেয়ে উপকারী। এতে থাকা মিন্ট পোড়া স্থানকে ঠাণ্ডা রাখে ও ফোসকা ফেলতে দেয় না।
ঠাণ্ডা জল
পুড়ে গেলে সবার প্রথমেই সেই স্থানে খুব ভালো করে ঠাণ্ডা জল ঢালুন বা কোনও পাত্রে ঠাণ্ডা জল নিয়ে চুবিয়ে রাখুন (সম্ভব হলে)। তবে মনে রাখবেন সেই স্থানে কখনোই বরফ ঘষা যাবে না।
কলার খোসা
কলার খোসা জ্বালা-পোড়া কমাতে খুবই কার্যকরী। পুড়ে যাওয়া স্থানে কলার খোসা এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
দই
দই বা কাঁচা দুধ পোড়া স্থানের ক্ষত দ্রুত কমিয়ে দেয়। পোড়া স্থানে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দই দিয়ে রাখুন। এতে ফোসকা পড়বে না এবং জ্বালা-পোড়া কিছুটা কমবে।
অ্যালোভেরা
পুড়ে যাওয়া স্থানে অ্যালোভেরার জেল লাগানো খুব ভাল। এটি ক্ষত স্থান শুকাতে ভাল কাজ দেয়। এর পাশাপাশি জ্বালা-পোড়া কমে, ঠাণ্ডা অনুভব হয়।
টি ব্যাগ
পোড়া স্থানে টি-ব্যাগ লাগানো খুব ভাল। চা পাতায় ট্যানিক এসিড থাকে যা ত্বককে শীতল করে।
মধু
মধু খুব ভাল অ্যান্টিসেপটিক। পোড়া স্থানে মধু লাগাতে জ্বালা-পোড়া অনেক কমে। এর সঙ্গে পোড়া দাগও দূর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।