ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, দাঁত ক্ষয়ে যাবে। ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী কর, দাঁত মজবুত করে, পেশী সংকোচন, হরমোন, রক্ত জমাট বাঁধা এবং স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বজায় রাখে।
দুধ, দইয়ে অনেকেরই হজমের সমস্যা, অম্বল হয়। সুতরাং এগুলি ছাড়াও, কোন খাবারগুলি খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।
ওটস- ওটস বেশিরভাগ মানুষের কাছে বেশ প্রিয় ব্রেকফাস্ট হয়ে থাকে। কারণ এটি তৈরি করাও যেমন সহজ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওটস ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি আপনার ডায়েটে বিভিন্ন উপায়ে ওটস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। প্রায় আধা কাপ ওটসে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। ওটস দুধ বা দই দিয়ে না খেলে পছন্দের সবজি দিয়ে ওটসের খিচুড়ি খেতে পারেন।
চিয়া বীজ- ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে ১৭৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। চিয়া বীজ ওটমিল টপিং হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। স্মুদি, স্যালাডে চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। চিয়া বীজে বোরন থাকে, যা পেশী এবং হাড়ের জন্য খুবই উপকারী।
সয়া দুধ- যদি দুগ্ধজাত দ্রব্যে অ্যালার্জি থাকে তবে সয়া দুধ একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এক গ্লাস সয়া দুধে প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
টোফু- টোফু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন আধা কাপ বা প্রায় ১২৬ গ্রাম টফু খেতে পারেন। এতে ৯ টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রতিদিন টোফু খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্যালসিয়াম পায়, যার কারণে শরীর সুস্থ থাকে।
ব্রকলি- ব্রকলিতে শুধু ক্যালসিয়ামই বেশি নয় বরং এতে রয়েছে ফাইবার, আয়রন, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো আরও অনেক পুষ্টিগত উপাদান। ব্রকলি খেলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
কমলা লেবু- একটি মাঝারি আকারের কমলাতে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। কিন্তু কমলা বেশি খাওয়াও ভাল না। এতে উপস্থিত ফাইবার বেশি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। পেটে ক্র্যাম্পের কারণও হতে পারে।
বিনস- বিনসে ভরপুর ক্যালসিয়াম থাকে। এক কাপ মটরশুটিতে ১৯১ মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। আপনি স্যুপ বা তরকারিতে ব্যবহার করতেই পারেন।
ভিটামিন-ডি ট্যাবলেট ভালো সাপ্লিমেন্টারি হতে পারে।