২০২০ সাল থেকে বিশ্বজোড়া আতঙ্কের নাম এখন শুধুই করোনা। প্রিয়জন হারানো থেকে আস্ত সংসার ভেসে যাওয়ার মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে এই কোভিড-১৯ অতিমারি। এই ভাইরাসের প্রভাব কারও দেহে কম, তো কারও দেহে ভয়বহতা ডেকে এনেছে। এই পরিস্থিতিতে এখন কিছুটা আশার আলো এই কোভিড ভ্যাকসিন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে কোভিডের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে শরীরে। সেক্ষেত্রে কীভাবে চিহ্নিত করবেন কোনটা কোভিডের উপসর্গ এবং কোনটা ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট?
করোনা ভাইরাসের ইনফেকশন অল্প, মাঝারি থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে
যেমনটা জানা যায়, কোভিড-১৯ শরীরে মাঝারি থেকে ভয়ঙ্কর অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে। এমনকী, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে. সাধারণ ভাবে জ্বর, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, গন্ধ না পাওয়া থেকে স্বাদ চলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয় করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে। তবে, এমনও অনেক রোগীকে দেখা গেছে যাদের দেহে কোনও উপসর্গ না থাকলেও, তারাই বাহক হিসেবে কাজ করেছে এই রোগের।
কোভিড ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট থেকে করোনার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে
গত কয়েক মাস ধরে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সামনে আসার পর থেকেই টিকা নেওয়ার প্রয়োজনিওতাও বেড়ে গেছে প্রবল ভাবে। তার ওপর বর্তমানে তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি আরও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তাই ভ্যাকসিন নিন। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটাও জানা জরুরি কীভাবে ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্টের সঙ্গে লড়বেন।
সাধারণ ভাবে কোভিড ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট হিসেবে যেগুলি দেখা যায় তা হল সামান্য জ্বর, হাতে পায়ে ব্যথা, ঠান্ডা ভাব থেকে মাথা ধরা। তবে ভ্যাকসিনের প্রভাবে বড় দুর্ঘটনার খবর তেমন নেই বললেই চলে।
ঠিক কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে?
বলে রাখা ভাল, করোনার ভ্যাকসিন মূলত, সেই রোগেরই একটি মিমিক্রি মাত্র। কারণ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শরীরে সেই ভাইরাসের প্রভাব ঢুকিয়ে অ্যান্ডিবডি তৈরি করা হয়। এর ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই এই ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট বোকা বানাচ্ছে। কারণ তা কার্যত করোনার উপসর্গের মতোই হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই আতঙ্কও ছড়াচ্ছে।
কীভাবে বলবেন যে আপনার সমস্যাটা ভ্যাকসিনেরই সাইড এফেক্ট?
কোভিড-১৯ উপসর্গের থেকে ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট কোথায় আলাদা তা বোঝার কয়েকটি সহজ উপায় আছে। যেমন, করোনার সমস্যা অনেকদিন স্থায়ী হয়। অন্যদিকে, ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই চলে যায় সাধারণ ভাবে। এছা়ডা়ও, করোনার মতো এক্ষেত্রে সর্দি কাশির সমস্যা থাকে না। ফলে, তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হওয়ার নয়। পাশাপাশি, খাবারের স্বাদ ও গন্ধও এক্ষেত্রে বজায় থাকে যা করোনার প্রকোপে থাকে না।