এমনিতে মানুষের উচ্চতা, আকার বংশানুক্রমিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু শরীরের কিছু সঠিক গ্রন্থি ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা জিনিস বিজ্ঞানীরা বলেন যে, ম্যাক্সিমাম হাইট-এ পৌঁছে গেলে মানুষের উচ্চতা আর বাড়া মুশকিল। কিন্তু এটা কী আপনি জানেন? যে সঠিক খাওয়া-দাওয়া এবং অনেক কিছু ডায়েটে রাখলে আপনার এবং জয়েন্ট এর শক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই তা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক বিকাশ এবং ইউনিয়ন ফাংশনের প্রোটিনের বড় ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হাড় মজবুত করে। যে সমস্ত বাচ্চাদের উচ্চতা কম তাদের শারীরিক বিকাশের জন্য বেশ কিছু পরিবর্তন আনবে, তা অত্যন্ত ভালো কাজ করে।
ফলিদার সবজি
এর মধ্যে প্রোটিন ছাড়া বেশ কিছু পোষক তত্ব থাকে। প্রোটিন, ইনসুলিন উৎপাদক আইজিএফ-ওয়ান এর স্তর বাড়াতে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়। ফলিদার সবজির মধ্যে আয়রন এবং ভিটামিন বি-ও পাওয়া যায়। যা অ্যানিমিয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
চিকেন
প্রোটিন এবং বেশ কিছু নিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর চিকেন মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। ভিটামিন বি-টুয়েলভ এর ভালো মাত্রায় সরবরাহ করে। এটি জলে গুলে যাওয়া এক ধরনের ভিটামিন, যেটাতে আপনি লম্বা হওয়ার কাজে সহায়তা পান। এতে পােষক তত্ত্ব পাওয়া যায়, যা আপনাকে অ্যামাইনো এসিড সরবরাহ করে।
বাদাম
বাদাম এ মজুত থাকা বেশ কিছু প্রকারের ভিটামিন এবং মিনারেল মানুষের উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর মাত্রায় থাকে। এ ছাড়া আমাদের ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়। একটা স্টাডি অনুযায়ী আমাদের জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক এটি।
পাতা যুক্ত সবজি
বাঁধাকপি, মূলো, পালং, রাই, পাট ছাড়াও বিভিন্ন পাতা যুক্ত সবজিতে বেশ কিছু ধরনের পোষক তত্ত্ব থাকে। এইসব ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম ছাড়া ভিটামিন-কে পাওয়া যায়। যা হাড়ের গঠন মজবুত এবং বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ইয়োগার্ট
প্রোটিন ছাড়া বেশ কিছু আলাদা আলাদা পোষক তত্ত্বের ভাল স্রোত বলে মনে করা হয় ইয়োগার্টকে। ২০০ গ্রাম ইয়োগার্টে প্রায় কুড়ি গ্রাম প্রোটিন থাকে। এর মধ্যে কিছু অন্ত্রের পুষ্টির জন্য বেশ কিছু প্রবায়োটিকস ব্যাকটেরিয়াও পাওয়া যায়। সঙ্গে ইয়োগার্ট হাড় মজবুত করে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এর ভান্ডার হিসেবে এটি কাজ করবে।
মিষ্টি আলু
ভিটামিন এ যুক্ত মিষ্টি আলু। হাড়ের গঠন উন্নত করে, উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সহায়তা করে। আপনার ডাইজেস্টিভ প্রসেস প্রমোট করার জন্য অন্ত্রের জন্য খুব ভালো ব্যাকটেরিয়ার বিকাশ ঘটায়। ভিটামিন-সি ভিটামিন এবং পটাশিয়ামের প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ করে।
কুইনোয়া
কুইনোয়া এক ধরনের বীজ। যা ব্যবহার করা হয় অন্য খাবারের বদলে। প্লান্ট বেস্ড প্রোটিন এর একটা ভালো স্রোত তৈরি করে এটি। এতে সব ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকে, যা প্রয়োজনে আপনার শরীরে থাকে। এর মধ্যে আহারের জন্য জরুরি ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। যা হাড়কে বাড়তি দৈর্ঘ্য দেয়।
ডিম
ডিম নিউট্রিশনের পাওয়ার হাউস। এর মধ্যে প্রোটিন নির্ভর পুষ্টি থাকে। এটাই হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য বেশ কিছু ধরণের পোষক পাওয়া যায়। ৮৭৪ টি বাচ্চার ওপর প্রয়োগ করা একটা পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ভাবে ডিম খেয়েছেন তাদের উচ্চতা বেড়েছে। ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুম মজুত থাকা ফ্যাট শরীরকে দুর্দান্ত ফায়দা পৌঁছে দেয়।
জাম
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং উন্নত প্রজাতির সমস্ত ধরনের ফলে অত্যন্ত পোষক থাকে। এর মধ্যে মজুত থাকা ভিটামিন সি কোশিকাকে উন্নত করে এবং টিস্যু রিপেয়ার করার কাজ করে। ভিটামিন সি শরীরে সিন্থেসিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি এমন প্রোটিন যার মাত্রা আপনাকে শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন থাকে। একটা স্টাডি অনুযায়ী হাড়ের ঘনত্ব বা
স্যামন মাছ
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডে ভরপুর এই মাছে পাওয়া যায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। হৃদয়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত লাভজনক এবং ডেভেলপমেন্ট এর জন্য খুব ভালো বলে মনে করা হয়। কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এটি মানুষের হার্ট অত্যন্ত ভালো রাখে। এটা বাচ্চাদের মধ্যে ঘুম বাড়িয়ে তার মধ্যে হাড় ডেভলপ করে।