ঘরে ঘরে ছেলেমেয়েদের মা-ঠাকুমারা একটাই কথা বলে থাকেন, খাবার নষ্ট করা উচিত নয়। ফলে অধিকাংশ পরিবারেই প্রতিদিনের বেঁচে যাওয়া খাবার, ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। খিদে পেলে সে খাবার গরম করে খাওয়া হয়।
বিজ্ঞান বলছে, উদবৃত্ত এই খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করে খাওয়াই যায়। কিন্তু আয়ুর্বেদ এর আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা দেয়।
আয়ুর্বেদ মতে, বেঁচে যাওয়া খাবার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত রেখে দিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কারণ, একে স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব পড়তে পারে।
কেন বেঁচে যাওয়া খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে খাওয়া উচিত নয়, তার ৩টি ব্যাখ্যা দেয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। কোন ৩ কারণে এমনটা করা উচিত নয়? জানলে চমকে উঠবেন আপনিও। এই কারণগুলি শোনার পর রাতের বেঁচে যাওয়া খাবার আর সকালে গরম করে খেতে চাইবেন না।
টাটকা, গরম খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি থাকে, এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পুরনো হয়ে যাওয়া খাবারে পুষ্টিগুণ কমে যায়।
দীর্ঘক্ষণ রেখে দেওয়া খাবার শরীরের এনার্জি কমিয়ে দেয়। অলস করে দেয় মানুষকে। আয়ুর্বেদ মতে, খাবার রান্নার ১ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্তই খাবার রেখে খাওয়া উচিত।
যদি কখনও নিরুপায় হয়ে পুরনো বেঁচে যাওয়া খাবার খেতেই হয় তবে তা সঠিক ভাবে স্টোর করে রাখতে হবে। আয়ুর্বেদ মতে, পুরনো বেঁচে যাওয়া খাবার স্টোর করার জন্য ভ্যাকিউম প্যাকিং কিংবা হিট ইনসুলেশনের অপশন বেছে নিতে হবে। যাতে খাবারে ব্যাকটেরিয়া না পড়ে ও খাবার খাওয়ার মতো অবস্থায় থাকে।
অয়ুর্বেদ মতে, যদি আপনি বেঁচে থাকা খাবার খান তবে ভুগতে হবে হজমের সমস্যায়। বাসি খাবার খেলে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করে।
বেঁচে যাওয়া বাসি খাবারে ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত বাসা বাঁধে। বাসি খাবারে পুষ্টিগুণও কম থাকে। সে কারণে খাবার রান্নার ১ ঘণ্টার মধ্যে খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ পৌঁছয়।
আয়ুর্বেদ মেনে চলা সকলেই মনে করছেম, খাবারের গুণমান আপনার স্বভাব নির্ণয় করে। টাটরা, স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে এনার্জি বাড়ায়।
বাসি এবং জাঙ্ক ফুড যত বেশি খাবেন আপনার অলসতা আরও বাড়বে। সে কারণে সর্বদাই টাটকা এবং গরম খাবার খাওয়া উচিত।