কাউকে দুদিকে তাল দিয়ে চলতে দেখলে আমরা বলি দু'মুখো সাপ। কিন্তু এখন থেকে দুমুখো সাপ বলে গাল দেওয়ার আগে একটু সমঝে নেবেন।
কারণ এই দুমুখো সাপেরই এখন বিশ্বের বাজারে দুর্মূল্য হয়ে উঠেছে। জানেন কত টাকা দাম উঠেছে ওই সাপটির ! দুমুখো সাপের দাম ১ কোটি টাকা।
কখনও দরদাম করতে পারলে সাপের দাম ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকার বেশিও। ফলে গালি দেওয়ার নয়, এ সাপ এখন দখলে রাখার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ভারতেরই উত্তরপ্রদেশে।
আর হবে নাই বা কেন ? উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই দুমুখো সাপের বিচরণের মুক্তাঞ্চল। এই সাপের ইংরেজি নাম রেড স্যান্ড বোয়া।
তথাকথিত দু'মুখো এই সাপের মূলত দেখা মেলে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের হস্তিনাপুর থেকে গড়মুক্তেশ্বর সংলগ্ন এলাকায়। শান্ত স্বভাবের এই সাপ আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান।
তবে এদের মধ্যে যে সাপগুলির গায়ে হালকা হলুদ এবং লালের মিশ্রণ রয়েছে, সেগুলির আন্তার্জাতিক বাজারে চড়া দাম। অনেকটা গেকো বহা তক্ষকের মতোই এর চাহিদা।
উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা থেকে এই সাপ আন্তর্জাতিক বাজারে পাচার হয়ে যায় বলে দাবি। ভারত সরকার এই সাপকে 'সংরক্ষিত' হিসেবে ঘোষণা করে।
এই সাপের মহার্ঘ দামের কারণ হল যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ বানানো হয়। তাই এই সাপের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এই সাপ মূলত মাটির নীচে থাকে।
আবার মানুষের মধ্যে বিশ্বাস, বয়সের ছাপ পড়বে না এমন গুণও নাকি আছে এই সাপের গ্রন্থিতে। তবে বেশিরভাগ লোকই জানেন না কীভাবে গ্রন্থি থেকে ওষুধ বের করতে হয়।
এ ছাড়াও এই সাপের মধ্যে নাকি ‘সৌভাগ্য বৃদ্ধি’র ক্ষমতা আছে, এমনও বিশ্বাস করেন মেরঠ এবং লখিমপুরখেরির বাসিন্দারা। এই সাপের অভিজাত রংয়ের চামড়ার পার্স, জুতো, বেল্ট এবং জ্যাকেট তৈরিতেও কাজে লাগে।