Advertisement

লাইফস্টাইল

বেশি ঘুমের সাইডএফেক্ট, হতে পারে বন্ধ্যাত্ব-ডায়াবিটিস

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 18 Aug 2021,
  • Updated 5:49 PM IST
  • 1/7

প্রত্যেকের ভালো এবং পরিপূর্ণ ঘুম প্রয়োজন। ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরে শক্তি যোগায়। যাই হোক, কিছু লোক আছেন যারা ঘুমের সময় কম পান। পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অত্যধিক ঘুমেরও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

  • 2/7

মাথাব্যথা
শরীরে উৎপন্ন সেরোটোনিন হরমোন আমাদের ঘুম ও জাগার ধরন নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত ঘুম সেরোটোনিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধা দেয়। এই কারণে, লোকেরা প্রায়ই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথাব্যথার অভিযোগ করে। এ ছাড়া, দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা এবং তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয়, যার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়।

  • 3/7

পিঠে ব্যথা
যদি আপনার দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনার পিঠ প্রায়ই ব্যথা করবে। একটি খারাপ মানের গদিতে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো পেশীগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় খারাপ পজিশনে ঘুমানোর ফলেও পিঠে ব্যথা হয়।

  • 4/7

ডিপ্রেশন
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে অতিরিক্ত ঘুমও ডিপ্রেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত। খুব বেশি ঘুমানো হতাশার লক্ষণ হতে পারে, যা দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে আরও খারাপের দিকে যায়। স্লিপিং সাইকেল ঘেঁটে গেলে উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। এর সম্পূর্ণ প্রভাব আপনার দৈনন্দিন রুটিনে পড়ে।

  • 5/7

অতিরিক্ত ক্লান্তি
দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমানোর পরেও যদি আপনি ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, তাহলে এটি বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। অত্যধিক ঘুম বডি ক্লক ব্যাহত করে এবং এটি পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশী এবং স্নায়ু শক্ত হয়ে যায় এবং তারপর শারীরিক ধকল নিতে সমস্যা হয়। এর ফলে শরীর ভীষণ ক্লান্ত অনুভব করে এবং বার বার ঘুমনোর কথা মনে হয়।

  • 6/7

ডায়াবিটিস
অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে, যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। এই সব কারণে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

  • 7/7

মহিলাদের ফার্টিলিটির উপর কুপ্রভাব
বেশি ঘুমানোর প্রভাব মহিলাদের ফার্টিলিটির উপরও পড়ে। একটি কোরিয়ান গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন থেরাপিতে থাকা মহিলারা যারা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যারা ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোন তাঁরা ৪৬% এবং যাঁরা নয় থেকে এগারো ঘন্টা ঘুমোন তাঁধের মধ্যে ফার্টিলির সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে ৪৩%। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি ঘুমানো হরমোন এবং বডি ক্লককে প্রভাবিত করে, যা সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

Advertisement
Advertisement