আবহাওয়ার পরিবর্তন উদ্ভিদের উপর প্রভাব ফেলে। নভেম্বর যত এগিয়ে আসে, ঠান্ডা তত বাড়তে শুরু করে।
এই ঋতুতে তুলসী গাছের যত্ন নেওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ঠান্ডা বাতাস এবং কম তাপমাত্রার কারণে, তুলসী পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়তে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক যত্নের মাধ্যমে, শীতকালেও তুলসী গাছকে সুস্থ ও সবুজ রাখা যায়।
গাছপালাকে নিয়মিত জল, সূর্যালোক, পুষ্টি এবং সুরক্ষা প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই দিনগুলিতে, দিনে একবার বা দুবার তুলসী গাছে হালকা জল দেওয়া যথেষ্ট। শুধু নিশ্চিত করুন যে মাটি সম্পূর্ণ শুষ্ক বা খুব বেশি ভেজা নয়।
শীতের মাসগুলিতে তুলসী গাছের পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন। সকালের হালকা সূর্যালোক গাছের জন্য আদর্শ।
তুলসী গাছে পরিমিত পরিমাণে জৈব সার দিন। গাছের শিকড় শক্তিশালী করতে এবং পাতার সতেজতা বজায় রাখতে গোবর সার বা কম্পোস্ট ব্যবহার উপকারী।
নিয়মিত গাছপালা ছাঁটাই করুন এবং মৃত বা মরে যাওয়া পাতা অপসারণ করুন। এটি নতুন পাতার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে এবং গাছগুলিকে সুস্থ রাখবে।
যদি খুব ঠান্ডা থাকে, তাহলে আপনার তুলসী গাছগুলি ঘরের ভিতরে অথবা উষ্ণ স্থানে রাখুন। আপনি আপনার বারান্দায় প্লাস্টিকের শিট বা কভারও ব্যবহার করতে পারেন।
যদি তুলসী গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়, তাহলে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব দ্রবণ ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন। নিমের নির্যাস বা হলুদের পেস্ট ব্যবহার করুন।