‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’-এই প্রচলিত কথার ভিত্তিটা এখন আর হয়ত ঠিক নয়। কারণ দম্পতি হিসেবে সংসার টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই। আর দুজন মিলে কী ধরনের দাম্পত্য জীবন পার করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়ে সম্পর্ক-বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞরা দাম্পত্য জীবনকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন।
এই ধরনের দম্পতি খুব শান্তভাবে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে থাকেন। যে কোনও সমস্যা বা নিজেদের মাঝে ঝামেলা হলেও তারা সেটা ঠাণ্ডা মাথায় সমাধানের চেষ্টা করেন।
এরা একলাফেই কোনও কিছুর উপসংহার টানেন না। বরং সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
নিজেরা কোনও ঝগড়া বা খারাপ আচরণ করে ফেললেও সহজেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন। আর পরিস্থিতি সামলে নিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এমন দম্পতি অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হন। অনেক বেশি সংবেদনশীল হওয়াতে এরা জটিল কোনো কথোপকথনে যেতে চান না। একে অপরের সমালোচনা বা কঠিন শব্দ উচ্চারণ এড়িয়ে চলেন।
এরা এমনভাবে একসঙ্গে যোগাযোগ করেন যেন ঝগড়া তাদের সম্পর্কে কোনো ব্যঘাত না ঘটায়। এছাড়াও নিজেদের মাঝে কোনো ঝামেলা হলে তা যেন সম্পর্কের বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেদিকে নজর দেন বেশি।
এই ধরনের দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে খুব কম ঝগড়া করে থাকেন। নিজেদের মাঝে আসা কোনও সমস্যা দ্রুতই মিটিয়ে নেন। এমনকি নিজেদের গুরুতর মতবিরোধ দেখা দিলেও তারা সবচেয়ে ইতিবাচক দিকের মনোনিবেশ করেন।
সম্পর্কে ঝামেলা এড়াতে এরা নির্দিষ্ট সীমারেখা মেনে চলেন। এরা মতবিরোধের বিষয়গুলো এড়িয়ে বরং দুজনের ভালোলাগে এমন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন।
এই ধরনের দম্পতি মতবিরোধের ক্ষেত্রে খুব রক্ষণাত্মক আচরণ করেন। এরা একে অপরের সমালোচনার পাশাপাশি দোষারোপও করে থাকেন। এদের মাঝে তর্ক ও ঝগড়া লেগেই থাকে। একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার মতো মানসিকতা থাকে না। ফলে দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।