পেঁপের বিভিন্ন রকম ফায়দা আমরা ভালভাবেই জানি। কাঁচা-পাকা যে কোনওভাবে পেঁপে খাওয়া যায়। তারা আলাদা গুণ রয়েছে কিন্তু পাকা পেঁপের মাঝখানে কালো তকতকে বীজগুলি আমরা ফেলে দিয়ে থাকি। দেখেও কেমন যেন লাগে। মাঝখান থেকে চেঁছে ফেলে দিয়ে তবে শান্তি।
কিন্তু আপনি কী জানেন? যে এই বীজগুলি মারাত্মক উপকার দিতে পারে। এমনকি পেঁপের বীজগুলি আপনি শুকিয়েও কৌটোয় রেখে খেতে পারেন।
পেঁপের মধ্যে কী থাকে?
পেঁপেতে পর্যাপ্ত মাত্রায় আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এটি শারীরিক ক্রিয়া তো ভালো করেই সঙ্গে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। পেঁপের বীজ নিয়মিত খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যায়।
পেঁপের বীজ খাওয়ার হাজার ফায়দা রয়েছে
লিভারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সমস্যা, লিভারের সিরোসিসকে ভালো করে তোলে এটি। লিভার সিরোসিসে অত্যন্ত ভালো কাজ দেয়। আপনি চাইলে এটি লেবুর রসের সঙ্গে খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেলে লিভার ফাংশন আরও ভালো হয়।
ত্বকে জ্বালা ও প্রদাহের সমস্য়া দূর করে
যদি আপনার শরীরের ত্বক বা চামড়ায় প্রদাহ অথবা জ্বলন অনুভব হয় তাহলে পেঁপের বীজ ব্যবহার করে দেখুন শরীরের যে কোনও অঙ্গের জলন কয়েক মুহুর্তেই তা কমিয়ে দেবে। শরীরের যে কোনও অঙ্গের প্রদানের ক্ষেত্রে পেঁপের বীজ ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ভাইরাল জ্বর হলে ব্যবহার করুন পেঁপের বীজ
যদি আপনি প্রতিদিন পেঁপের বীজ সেবন করেন তাহলে আপনার ভাইরাল জ্বর হওয়ার আশঙ্কা কম হয়ে যাবে। এই বীজ অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। সঙ্গে এটি সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে একটি ভালো উপায়।
ক্যান্সারে ভালো কাজ দেয়
ক্যান্সার থেকে সুরক্ষার জন্য পেঁপের বীজ সেবন করা অত্যন্ত ভালো কাজ দেয়। এই বীজের মধ্যে আইসোসায়ানেট নামে একটি তত্ত্ব পাওয়া যায়, যা ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং সুরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো কাজ দেয়।
কারা পেঁপের বীজ খাবেন না?
যদিও গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপের বীজ খাওয়ার বারণ রয়েছে। এতে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া খুব ছোট বাচ্চাদের পেঁপের বীজ খাওয়ানো যাবে না। সেবন করার সময় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে টিম নিয়মিত এবং অল্প পরিমানে খেতে হবে।