Advertisement

লাইফস্টাইল

Mungpoo Rabindra Bhawan Food And Lodge: শুধু দর্শনই নয়, রবীন্দ্র-স্মৃতি বিজড়িত মংপুতে থাকাও যাবে, খরচ কত?

সংগ্রাম সিংহরায়
  • মংপু,
  • 08 Jun 2023,
  • Updated 8:22 PM IST
  • 1/8

সামনেই ২২ শ্রাবণ। রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবস। তার আগেই সুখবর নিয়ে এল জিটিএ ও পর্যটন দফতর। এবার থেকে এই দার্জিলিংয়ের মংপুর রবীন্দ্রভবন চত্বরেই থাকা যাবে। ফলে ইচ্ছেমতো দর্শন করে আশপাশে ঘোরাঘুরিও করতে পারবেন ইচ্ছেমতো। বহু জায়গা রয়েছে। যা মংপু থেকে ঘুরে আসা যায়। আর যদি ২২ শ্রাবণ, বা ২৫ বৈশাখে যান, তাহলে বাড়তি আমেজ পাবেন এখানে সরকারি উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তা উপভোগ করার সুযোগও মিলবে। 
 

  • 2/8

মংপুর রবীন্দ্রভবনকে ঘিরে বিশ্বকবির অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ১৯৩৮ সালের ২১ মে কবি প্রথমবার কালিম্পং থেকে মংপু-র সুরেল বাংলোতে আসেন। দ্বিতীয়বার কবি ১৯৩৯ সালের ১৪ মে পুরী থেকে সোজা মংপু আসেন গ্রীষ্ম কাটাতে। তারপর ওই বছরই ফের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে তিনি আবার মংপুতে আসেন। দুই মাসের কিছু বেশি সময় পার করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় ফিরে যান। 

  • 3/8

১৯৪০ সালের ২১ এপ্রিল চতুর্থ বারের জন্য মংপু আসেন রবীন্দ্রনাথ। সেবারে পঁচিশে বৈশাখে তাঁর জন্মদিন সেখানেই পালিত হয়। সেখান থেকে তিনি কালিম্পং যান। সেই বছরই শরৎকালে আবার মংপু আসবেন বলে জিনিসপত্রও রেখে যান। কিন্তু আর মংপু আসা হয়নি। তিনি সেবার শরৎকালে কালিম্পং আসেন। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর আসতে পারেননি মংপু। ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি কালিম্পং-এর গৌরীপুরে অজ্ঞান হয়ে গেলে, তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

  • 4/8

মংপুর এই ভবনটি আসলে লেখিকা মৈত্রেয়ীদেবীর স্বামীর কোয়ার্টার। মৈত্রেয়ীদেবীর স্বামী মনমোহন সেন সিঙ্কোনা প্লান্টে চাকরি করতেন। এই কোয়ার্টারেই কবিকে বারবার আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসেন মৈত্রেয়ী দেবী। কবিও সেখানকার শান্ত, সুন্দর পাহাড় দেখে মুগ্ধ হয়ে এক মাস, দেড় মাস করে থেকে যেতেন। সেই কোয়ার্টারটি সিঙ্কোনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আজ ঐতিহাসিক রবীন্দ্র ভবন। 

  • 5/8

সেই ভবনে কবির ব্যবহার করা খাট, লেখার ডেস্ক, রঙের প্যালেট, বায়োকেমিক ওষুধের শিশি, বহু ছবি আজও রয়ে গিয়েছে। কবি এই ভবনে বসেই তাঁর ‘জন্মদিন’ কবিতা যেমন লিখেছেন, তেমনই শেষ কথা, বাংলা ভাষার পরিচয়, ছেলেবেলার কথা লিখেছেন। তাছাড়া নবজাতক, সানাই, আকাশ প্রদীপ, মংপু, ক্যামেলিয়া কবিতাগুলো এখানে বসেই লেখা। তিনি এখানে বসে পাহাড়ের ছবি বাদে বেশ কিছু ছবি নিজে হাতে এঁকেছেন। সেসব এখন এই ভবনের সংগ্রহশালায় রাখা আছে। মৈত্রেয়ী দেবিকে লেখা কবির কিছু চিঠিও এখানে রয়েছে।

  • 6/8

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত মোট চারবার কালিম্পং-এ এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। শেষ বার আসেন ১৯৪০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। সেবারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাছেই রয়েছে গৌরীপুর ভবন। সেটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরের জমিদার ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। বাড়িটির অবস্থান কালিম্পং শহর থেকে দক্ষিণ দিকে এক কিলোমিটার দূরে। মংপু থেকে কাছেই। এই বাড়িতেই বিশ্বকবি অতিথি হিসাবে এসেছিলেন। সেই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহার করা কোনও জিনিসই আর নেই। তবে সেই বাড়ির এক স্থানে একটি ফলকে লেখা আছে, ‘এই ভবনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাস করিতেন এবং ২৫ শে বৈশাখ ১৩৪৫ সনে জন্মদিন কবিতা আকাশবাণীতে সরাসরি আবৃত্তি করিয়াছিলেন।’ রবীন্দ্রনাথ তাঁর আশিতম জন্মদিন কাটিয়েছিলেন এই বাড়িতে। নিজের লেখা ‘জন্মদিন’ কবিতাটি তিনি এখান থেকেই আবৃত্তি করেছিলেন টেলিফোনে। যেটি আকাশবাণী কলকাতা সরাসরি সম্প্রচার করেছিল।

 

  • 7/8

এই গৌরীপুর হাউসের কাছেই অতিশা রোডে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত আরও একটি বাড়ি রয়েছে। তার নাম চিত্রভানু। নামও কবিগুরু নিজের দেওয়া।সে বাড়িটির জমি কেনা হবে বলে কবিই স্থান নির্বাচন করে দিয়ে যান। কবির খুব ভালো লাগত কালিম্পং। তাই কালিম্পং-এ স্থায়ী একটি আবাস তৈরি করতে চেয়েছিলেন কবি। ১৯৪১ সালে কবির পুত্র রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী প্রতিমা দেবীর নামে লিজে নেওয়া হয় জমি। সেখানে নির্মাণের সময় রথীন্দ্রনাথ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নির্মাণ করিয়েছিলেন। পরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে রথীন্দ্রনাথ কাজে ব্যস্ত থাকলে, প্রতিমাদেবী দীর্ঘদিন সেই চিত্রভানুতে ছিলেন। সেখানে প্রতিমা দেবীর ব্যবহার করা টেবিল, চেয়ার, খাট সবই আছে। তাছাড়া কবিগুরুর অনেক হাতের কাজ এখানে আছে। সেখানে অবশ্য এখন রাজ্য সরকারের তরফে মহিলাদের হাতের কাজের কিছু প্রশিক্ষণ হয়। কবি পুত্র রথীন্দ্রনাথের স্টুডিওর নামে এই বাড়ির নামকরণ হয় চিত্রভানু।

  • 8/8

নতুন তৈরি ভবনটি মংপুর রবীন্দ্রভবনের সঙ্গেই লাগোয়া এলাকায়। রবীন্দ্র ভবনের স্থাপত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য় রেখে বানানো হয়েছে। এটিতে থাকার জন্য খরচ মোটামুটি আলাদা ঘর নিলে ৩০০০ টাকা প্রতিদিন একটি রুমের হিসেবে ধরা হয়েছে।  ডরমিটরি ভাড়া নিলে ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। খাওয়ার জন্য মাথাপিছু প্রতিদিন ৬৫০ টাকা খরচ পড়বে। বুকিং করতে পারেন সরাসরি অনলাইনে rabindrabhwanmungpoo@gmail.com এ মেল করে। কিংবা ৮৯১৮১০৩২৯৮ বা ৬২৯৭৫৭১৯০১৩ এই নম্বরে ফোন করে।

Advertisement
Advertisement