ঘুরতে সবাই ভালবাসে। কিন্তু কোথায় যাব এটা ভাবতে ভাবতেই সময় বয়ে যায়। গরমে আমরা পাহাড়েই যাই। এখন অবশ্য সারা বছরই পাহাড় ঘোরেন মানুষ। আর ঘুরবেন নাই বা কেন? কারণ পাহাড়ের রং বদলায় প্রতি ঋতুতে।
দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলি অনেকেই ঘুরেছেন। যাঁরা অফবিট লোকেশন খোঁজেন তাঁদের জন্য়ও নতুন নতুন বিকল্প তৈরি হচ্ছে। অনেক ছোট গ্রামে দুটি একটি হোমস্টের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করছে। যার সৌন্দর্য অপরূপ।
আজ আপনাদের নতুন একটি গন্তব্যের খোঁজ দিচ্ছি যেটা আপনার পাহাড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় নতুন পালক গুঁজে দিতে পারে। এই জায়গাটির নাম ছোট রঙ্গিত। দার্জিলিং জেলার বিজনবাড়ির খুব কাছে।
ছোট রঙ্গিত দার্জিলিংয়ের কাছেই ছোট্ট একটা গ্রাম ছোট রঙ্গিত। কৃষি প্রধান গ্রাম। এখানকার মানুষের প্রধান জীবীকা চাষবাস। গ্রাম জুড়ে কেবল চাষবাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
পাহাড়ি গ্রামের মানুষ কীভাবে ধাপে ধাপে ধান চাষ করেন তার একটা অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ছোট রঙ্গিতে। দার্জিলিংয়ের কাছেই এই গ্রাম। বিজন বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়।
এই গ্রাম থেকে বিজনবাড়ি স্পষ্ট দেখা যায়। ধাপে ধাপে ধান চাষ ছোট রঙ্গিত জুড়ে চাষবাস করে থাকেন বাসিন্দারা। ধাপ কেটে কেটে হয় ধান চাষ। অক্টোবর মাসে গেলে একেবারে সোনালি রং হয়ে থাকে পাহাড়। গোটা গ্রামে যেন সোনা ঝরছে। এমন সুন্দর দেখায়।
আর এখন গেলে দেখতে পাবেন জমি পরিষ্কার করে ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। সেটাও দেখার মত। পাহাড়ে লম্বা জমি নেই, তাতেই কীভাবে ধাপে ধাপে ধান চাষ হয় অনেকেই জানেন না। এখানে এলে সেটা দেখা যাবে।
মানেভঞ্জন আর রঙ্গিত নদী এই গ্রামের পথে যেতে যেদিকে তাকাবেন সেদিকে তাকালেই কেবল সবুজ। সামনেই মানেভঞ্জন পাহাড়। আর একদিকে বয়ে চলেছে ছোট রঙ্গিত নদী।
সারা বছরই এখানে বেড়াতে আসা যায়। আলাদা করে নতুন কোনও জায়গা নেই। সারাদিন েহঁটেই গ্রাম ঘুরে বেড়ানো যায়। এনজেপি থেকে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। দার্জিলিংয়ের দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। কাজেই এখান থেকে দার্জিলিংও বেড়িয়ে আসা যায়। আবার সিকিমের জোরথাংও খুব কাছে। সেটাও দেখে আসতে পারেন।