সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম তথা ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন। তাতে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর থাকে সতেজ ও তরতাজা।
আমরা সবাই জানি যে ঘুম কম হলে তা স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলে। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে, অতিরিক্ত ঘুমও স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তবে কেউ 'কুম্ভকর্ণ' হলে জীবনে কী কী খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
১. হৃদরোগ
কারও ঘুম যদি ৮ ঘন্টা পরেও না ভাঙে, তাহলে অ্যালার্ম বা পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিন। কারণ কেউ যদি দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমোন তাহলে হার্ট সংক্রান্ত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে করোনারি আর্টারি ডিজিজের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২. মাথাব্যথা
পর্যাপ্ত ঘুম হলে তা ক্লান্তি ও মাথাব্যথা দূর করে। কিন্তু বেশি ঘুমে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে তা মাথাব্যথা বাড়াতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বদ অভ্যাসটি পরিত্যাগ করুন।
৩. ডিপ্রেশান
আমরা সবাই জানি যে কম ঘুম স্ট্রেস-এর কারণ হতে পারে। কিন্তু বেশি ঘুমালেও এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। যাঁরা নিজেদের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, তাঁরা প্রায়শই ডিপ্রেশানের শিকার হন।
আরও পড়ুন - তুখোড় বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির জন্য ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি
৪. স্থূলতা
কেউ যখন একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ঘুমান, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি শরীরচর্চা বা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটির জন্য সময় বের করতে পারবেন না। আর তার জেরে পেট এবং কোমরের মেদ বাড়াতে থাকে, যা ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করে।