প্রতিটি মহিলার জীবনেই গর্ভাবস্থা খুব বিশেষ একটা সময়। এই সময়ে তাঁদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রেগন্যান্সি নিয়ে একাধিক গবেষণা রয়েছে। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) একটি গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে, গর্ভাবস্থাকালীন সময়ে বা যেই মহিলারা সন্তানের পরিকল্পনা করছেন তাঁদের মদ্যপান বন্ধ করা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সম্প্রতি তাদের গ্লোবাল অ্যালকোহল অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে অ্যালকোহলের সঙ্গে জড়িত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অনেক দেশেই কাজ করছে।
এই পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে বলা হয়েছে, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং সন্তান জন্মদানের বয়স হয়েছে যে সমস্ত মহিলাদের, তাঁদের মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে। এছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করলে একাধিক রোগ হতে পারে। এমনকি এটি বিভিন্ন মানসিক সমস্যা সহ হিংস্রতা, সম্পর্কের তিক্ততা মতো আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য সন্তানের জন্মগত ত্রুটি এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল অস্বাভাবিকতার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু তাই নয়, শিশুদের মধ্যে এর ফলে আরও অনেকগুলি ব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে বৃদ্ধিতে বাধা, শিক্ষা ও আচরণগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য মেডিকেল অফিসারদের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের কোনওভাবেই মদ্যপান করা নিরাপদ নয়। যারা সন্তানের পরিকল্পনা করছেন এটি তাঁদের জন্যেও যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
এনএইচএস ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞরা এখনও এটি নির্ধারণ করতে অক্ষম যে অ্যালকোহলের সঠিক কতটা পরিমাণে সেবন করলে গর্ভবতী মহিলাদের কিছুটা নিরাপদ। তবে তারা জানিয়েছে, গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল পান করলে, শিশুর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে এবং এর খারাপ প্রভাব শিশুর যে কোনও অংশে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়েও অ্যালকোহল পান করা ভ্রূণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই বয়স নির্বিশেষে অ্যালকোহলের জন্য হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে প্রত্যেক ব্যক্তির সচেতন হওয়া খুব জরুরি।