চুলের দৈর্ঘ্য বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ছ'ফুটের বেশি। তিরিশ বছর থেকে চুলই কাটাননি ওই মডেল। আর চুলেই বিখ্যাত হয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এলিনা ক্রাভচেঙ্কো নিজের লম্বা চুলের জন্য গোটা পৃথিবী জুড়ে চর্চার শীর্ষে রয়েছেন। তাঁর চুলে মোহিত বিশ্বের আমজনতা।
রিপোর্ট ও তথ্যসূত্র জানাচ্ছে, এলিনার চুলের দৈর্ঘ্য ৬ ফুটের বেশি। তাঁর চুল তাঁর সমান প্রায়। ফলে নেটিজেনরা হাসাহাসি করে বলছেন তাঁর পোশাকের কী দরকার! চুলেই ঢাকতে পারে আব্রু।
৩০ বছর ধরে এলিনা তাঁর চুল কাটেন না। তবে ট্রিমিং করাতে অবশ্য ভোলেন না তিনি। চুলের ডগা ছেঁটে সাজিয়ে রাখতে তাঁর পরিশ্রমের শেষ নেই।
সম্প্রতি এলিনা একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যাতে তাঁকে তাঁর ড্রেসার চুল আঁচড়ে দিচ্ছেন। তাঁকে লাল সুন্দর গাউনে ফেয়ারির মতো রূপে দেখা যাচ্ছে। তাঁর মাথায় রয়েছে ক্রাউনও।
চুল ঠিক রাখতে হলে এলিনার টিপস, এটা বেশি ধোয়া যাবে না। অর্থাৎ স্নান করলেও "আমার যেমন বেণী তেমনই রবে চুল ভেজাব না।"
ইনস্টাগ্রামে তিনি এখন অন্য়তম ট্রেন্ডিং। চুল তো বটেই, তাঁর নিজস্ব কায়দায় তিনি ভক্তদের আকর্ষিত করেছেন। এখন তিনি ৮৮ হাজার ফলোয়ার্স জোগাড় করে নিয়েছেন।
টুইটার, ইন্সটাগ্রামে তিনি অন্যতম ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। তাঁর চুল প্রদর্শনের কায়দাতেই ফ্যানদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছেন।
এমনকী অনেক মহিলা-পুরুষ ভক্ত তাঁর চুল আঁচড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। যাতে তাঁর কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। বলাই বাহুল্য এই সুযোগ না পেলেও এলিনা বিষয়টি এনজয় করেছেন।
এলিনার দাবি, তাঁর চুল পুরোপুরি ন্যাচারাল। তিনি তাঁর চুল সারা শরীরে জড়িয়ে নিতে পারেন অনায়াসেই। তার জন্য কসরত করতে হয় না।
এলিনা জানিয়েছেন, তাঁর ফ্যানরা কখনও তাঁকে ডি-মোটিভেট করেন না। সবাই সব সময় পজিটিভ কমেন্ট করেন, তাতে তাঁর উৎসাহ বাড়তে থাকে।
এলিনার চুল ছাড়াও তাঁর ফিগার, তাঁর শারীরিক সৌন্দর্যও তাঁকে জনপ্রিয় করার পিছনে অন্যতম কারণ। তাঁর ভিডিও, ছবির জন্য ফ্যানরা মুখিয়ে থাকেন।
তিনি ছবি পোস্ট করলেই তাতে কমপক্ষে ১০-২০ হাজার এর কমে লাইক, শেয়ার পড়ে না। তিনি প্রায় প্রতিদিনই তাঁর নানা কায়দায় ছবি-ভিডিও পোস্ট করেন।