পুজোর মরশুমের মধ্যেই নিঃশব্দে চালু হয়ে গেল 'রেড পান্ডা'। টয়ট্রেনের এই রাইড ঘিরে এখন খুশির হাওয়া পর্যটক মহলে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফ থেকে পর্যটক আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য চালু করে দেওয়া হল এই রেড পান্ডা এক্সপ্রেস। শনিবার থেকে চালু হয়েছে ট্রেনটি।
প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে শনি এবং রবিবার ট্রেন চলবে। কার্শিয়াং থেকে সকাল সওয়া ১১টায় ছাড়ার কথা। ট্রেনটি ঘুরে আবার কার্শিয়াংয়ে এসে থামবে।
কার্শিয়ং থেকে ট্রেনটি রওনা হয়ে স্পেশাল স্টপেজ এ গিয়ে থামবে। গিদ্দা পাহাড়ের রক গার্ডেনে। সেখানে ১০ মিনিট ব্রেক দিয়ে ছবি তোলা বা চা-কফি, স্ন্যাক্স নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
ফেরার পথেও এবং গার্ডেনে স্টপেজ দেওয়া থাকবে। তখন আবার পড়ন্ত বিকেলে পাহাড়ের অন্যরূপ প্রত্যক্ষ করতে পারবেন পর্যটকরা।
শনিবার কার্শিয়াং স্টেশন থেকে রেড পান্ডা এক্সপ্রেস এর সূচনা করেন এডিআরএম কাটিহার সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর এ কে মিশ্রা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুজোর পরই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাওয়ায় উচ্ছ্বাসে ভাসছেন পর্যটকেরা। যাঁরা আগে থেকেই দার্জিলিং গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তাঁরা আচমকা এই পরিষেবা পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
একসময়ে পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হলেও টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই কার্শিয়াংকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হারিয়ে যাওয়াতেই উৎসাহ কম ছিল।
রেড পান্ডা চালু হয়ে যাওয়ায় কার্শিয়াং এর গুরুত্ব ফের পর্যটন মানচিত্রে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্শিয়াং থেকে মহানদীর ৮ কিলোমিটার পথে ঘোরার মধ্যে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগবে।
রেড পান্ডা এক্সপ্রেসে কাঞ্চনজঙ্ঘা, পাহাড়ি ঝরনা, একদিকে গভীর খাদ। একদিকে শিলিগুড়ি, অন্যদিকে দার্জিলিং। মাঝে পাকদন্ডি বেয়ে রেড পান্ডা এক্সপ্রেস পৌঁছবে স্বর্গদুয়ারে।
ইতিমধ্যেই এবং শিলিগুড়ি জংশন এর মধ্যে জঙ্গল সাফারি পরিষেবা চালু করেছে ডি এইচ আর। অনেকেই প্রথম দিনের ট্রিপ মিস করতে চাননি। রবিবার সকাল থেকেই রেড পান্ডা ট্রিপের জন্য টিকিটের খোঁজ শুরু হয়েছে।
রেড পাণ্ডাকে ঘিরে পর্যটকদের পাশাপাশি উৎসাহ রয়েছে পর্যটন সার্কিটেরও। ইতিমধ্যেই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টয়ট্রেনের রাইড। তার মাঝে টয়ট্রেনকে বেসরকারিকরণের কথা চলছে। যদি সরকারি উদ্যোগে রাইডগুলি রাজস্ব এনে দিতে পারে. তাহলে হয়তো সরকারিই থেকে যাবে হেরিটেজ টয়ট্রেন।