খিচুড়ির সঙ্গে আলুভাজা, বেগুনভাজা, পটলভাজা, যাই থাকুক না কেন, পাঁচমিশালি তরকারিটা কিন্তু মাস্ট। আর এরই নাম হল লাবড়া।
ভোগের খিচুড়ি বা ধর্মীয় কোনও অনুষ্ঠানে খিচুড়ির সঙ্গে লাবড়া থাকবেই। লাবড়া তৈরি করা হয় হরেক সবজি দিয়ে।
এর মধ্যে থাকে আলু, পটল, কাঁচকলা, ফুলকপি, পুঁইশাক, সিম, বেগুন, ঝিঙে। তাই লাবড়া হল খাঁটি নিরামিষ এক তরকারি।
এর ফোড়ন হিসাবে পাঁচফোড়ন, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা দেওয়া হয়।
অনেকে আবার লাবড়াতে নারকেল কোরাও দিয়ে থাকেন।
ছ্যাঁচড়া আবার একেবারে আমিষ পদ। সাধারণত বিয়ে বাড়ি, অন্নপ্রাশন বা পারলৌকিক কাজের বাড়িতে হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠান বাড়িতে মাছ রান্না করা হয়, সেই মাছের তেল পটকা, মাথা মুড়ো, ল্যাজা সমস্ত বেঁচে যাওয়ার পরে শীতকালীন সমস্ত সবজি দিয়ে একটা রান্না করা হয়। তাকে বলা হয় ছ্যাঁচড়া।
এটি খেতে কিন্তু অসাধারণ সুস্বাদু। বাঙালি বিয়েবাড়ির দুপুরের খাওয়ারের মেনুতে এই পদ মাস্ট মাস্ট মাস্ট! সুতরাং ছ্যাঁচড়াকে পুজো বাড়ির অংশ হিসাবে ধরা হয় না।
সমস্ত বেঁচে যাওয়া মাছের অংশ ও নানা রকমের সবজি দিয়ে এই পদ রান্না করা হয় বলে একে ছ্যাঁচড়া নামে ডাকা হয়।
লাবড়া ও ছ্যাঁচড়ার চরিত্র আলাদা হলেও স্বাদের নিরিখে গোল দিতে পারে আচ্ছা আচ্ছা হাল ফ্যাশনের পদকে।