একেবারে দোরগোড়ায় শীত। ইতিমধ্যে ভোরবেলা বা রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হয়। ঠান্ডার মরসুমে সর্দি-কাশি সহ আরও নানা রোগে ভোগেন অনেকেই। তাই এই সময়ের শরীরের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। আসুন জানা যাক এরকম কিছু সুপারফুড সম্পর্কে, যা শীতকালে আপনার ডায়েটে রাখলে থাকবেন ফিট।
ঘি
বিশুদ্ধ দেশি ঘি-তে ভিটামিন এ, ই, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। ঠান্ডায় শরীরকে গরম রাখে ঘি। নির্ভেজাল ঘি সহজে হজম করা সম্ভব। শীতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি খেলে, শরীরে শক্তি থাকে।
রাঙা আলু
শীতকালের যে রাঙা আলু পাওয়া যায়, সেই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ ও পটাসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত রাঙা আলু খেলে, রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
আমলকি
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ইমিউনিটি বুস্টার হিসাবে পরিচিত। যে কোনও সংক্রমণ বা রোগ থেকে এটি শরীরকে দূরে রাখে।
ব্রকলি
ব্রকলিতে মজুত ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে শক্তি যোগায় এবং সর্দি- কাশি সহ একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখে।
খেজুর
খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার। এটি শীতে অলসতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
গুড়
গুড়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন। শীতে শরীর গরম রাখার পাশাপাশি রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়ায়।
মূল শাকসবজি
মূল শাকসবজি যেমন গাজর, মূলো, শালগম ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যারোটিন। এই ধরণের সবজি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ড্রাই ফ্রুট
শীতকালে নিয়মিত ড্রাই ফ্রুট খেলে, শরীর পুষ্ট এবং গরম থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আরও অন্যান্য একাধিক রোগ থেকে মুক্তি নেয়।
বাজরা
বাজরাতে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। এটি শীতকালে সর্বশ্রেষ্ঠ সুপারফুড বলে মনে করা হয়। তাই ডায়েটে এটা রাখলে উপকার মিলবে।