দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে বছরের প্রথম তুষারপাত হয়েছে বৃহস্পতিবার। মরশুমের প্রথম তুষারপাত হওয়াতে উৎসাহ খানিকটা বেশিই ছিল সকলের মধ্যে।
ঘুরতে এসে পর্যটকরা আচমকা তুষারপাতের মুখোমুখি আনন্দে আত্মহারা ছিলেন। অনেককেই বরফ তুলে ছোড়াছুড়ি করে খেলতে দেখা গিয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গিয়েছে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিকিমের উচু পাহাড়গুলিতে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি নীচু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ডিসেম্বরের মাসের প্রথম সপ্তাহেও শীত সেভাবে পড়েনি। তবে বৃহস্পতিবার একদিকে উঁচু এলাকায় তুষারপাত ও নীচু এলাকা সহ শিলিগুড়িতেও হালকা বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গেল।
এদিন দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও দার্জিলিং ছাড়া আর কোনও জেলায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই এই মুহূর্তে।
আগামী ৩ দিনে পাহাড় সহ সমতলে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমবে। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা থাকছে। জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে সান্দাকফুর পাশাপাশি ভুটানেও তুষারপাত হয়েছে শুক্রবার। সিকিমে ২ সপ্তাহ আগে তুষারপাত হয়েছিল। আবার হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ বেশ কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। যা তাপমাত্রা খানিকটা নামিয়ে এনেছে।
তবে প্রকৃত তাপমাত্রা পতন হতে আরও ৪-৫ দিন লাগবে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল ঝঞ্ঝার প্রভাবে।
রোদ উঠলেই তাপমাত্রা পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ফলে পাকাপাকি শীত প্রায় দোরগোড়ায় বলাই যায়। সেই সঙ্গে সোনায় সোহাগা এনে দিয়েছে তুষারপাত।