সমতলে শীত পড়ছে ধীরে ধীরে। উত্তরবঙ্গের পাহাড় লাগোয়া সমতলেও কালীপুজোর পর থেকে ঠান্ডা পড়া শুরু হলেও পাকাপাকি শীত পড়ার মুখে বাধা আচমকা তৈরি হওয়া নিম্নচাপ।
তবে পাহাড়ের তাতে থোড়াই কেয়ার। দার্জিলিং-সিকিমের উত্তর অঞ্চলে তাপমাত্রা মোটামুটি রাতে শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যাচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাব নেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পাহাড়ে।
ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশে তারার মেলা। রাতে পাহাড়ের গায়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আলোর ঝিকিমিকি এবং দিনের বেলায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্জনজঙ্ঘা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শীত পড়তে বাধা দিচ্ছে নিম্নচাপ। যদিও সকাল ও বিকেলের পর সোয়েটার-জ্যাকেট প্রয়োজন হচ্ছে। ঠান্ডা মালুম হচ্ছে ভালই।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কাটলেও আকাশের মুখ ভার থাকবে বলেই পূর্বাভাস।
এদিকে ২ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের উত্তর অংশ সান্দাকফু সহ সিকিমের বেশ কিছু অঞ্চলে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে এখন পাহাড়ে পর্যটক ভিড় জমাতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যা পর্যটক বিস্ফোরণে পরিণত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তর সিকিম খুলে গিয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে। অন্যদিকে সান্দাকফু-ফালুটে ভিড় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করে কবে পূর্বাভাস সত্যি হয় সেই অপেক্ষায়।