অন্তরীক্ষতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গ্যালাক্সির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যা আসলে একটা মনস্টার গ্যালাক্সি। আমাদের আকাশগঙ্গার চেয়ে ১০০ গুণ বড় আমাদের সৌরমণ্ডলের ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে যার নাম Alcyoneous. এটি একটি বিশাল রেডিও গ্যালাক্সি। ৫.১ এ বিস্তৃত লম্বা ১.৬৩ কোটি আলোকবর্ষ এবং এটি এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া অন্তরীক্ষে সবচেয়ে বড় আকৃতির গ্যালাক্সি।
এই অনুসন্ধানের পর অন্তরীক্ষে বিজ্ঞানীদের মনে হচ্ছে যে তারা অন্তরীক্ষের বিষয়ে খুব কম জানেন। অন্তরীক্ষতে যে রহস্য রয়েছে তা Alcyoneous এর বড় আকারের পিছনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এর ভিতরে অনেক বড় ব্ল্যাক হোল আছে। দ্রুত গতিতে যাওয়া কণা রয়েছে। যার রেডিও তরঙ্গের ইন্টার গ্যালাকটিক মিডিয়াম হয়ে এদিক থেকে ওদিকে চলে যাচ্ছে।
Alcyoneous থেকে বের হওয়া জেটস্ট্রিম অনেক বড়। এই কারণে একে জায়ান্ট রেডিও গ্যালাক্সি বলে। আপাতত এর বিষয়ে এই বড় হওয়ার কারণে এটি জানা যায়নি। এর খোঁজ জারি রয়েছে এবং লিডিং ইউনিভার্সিটি পিএইচডি বিজ্ঞানী মার্টিন ওই এবং তার সঙ্গীরা এর তল্লাশিতে লেগে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তৈরি এবং রচনা সম্বন্ধিত রহস্যের খোঁজে লেগে রয়েছেন।
এনসিও নিয়োগের বিষয়ে একটা রিপোর্ট জার্নাল অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর peer-review হয়নি। মার্টিন এর বক্তব্য যে যদি আমরা মহাজ্ঞানী তৈরির পেছনে কোনও ছোট গ্যালাক্সি পাই, তাহলে তার হাত থাকে। তাহলে আমরা এখনও সেটা ভিতরে থাকবে এই কারণেই চওড়া লাগাতার বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের শুধুমাত্র ওটাই করতে হবে।
Alcyoneous একটি গ্রিক শব্দ। হারকিউলিসের বিশালাকায় শত্রু ছিল। এর মানে হলো বিশালাকৃতির নিতম্ব। যা ৫.০৪ মেগা পারসেস্ক চওড়া।আমাদের আকাশগঙ্গার পরিধি থেকে ১০০ গুণ বেশি। এই আকাশগঙ্গায় এত তারা রয়েছে, যার ওজন আমাদের সূর্যের অথবা কোটি কোটি গুণ বড়। এর ভিতরে থাকা ব্ল্যাকহোল ৪০ কোটি সোলার মাস দিয়ে তৈরি।
একটা কথা যেটা Alcyoneousকে সবচেয়ে আলাদা বলা হচ্ছে. সেটি হল এর ভেতরে মজুত থাকা প্রেসার সেন্টার, যা যে কোনও ভিডিও গ্যালাক্সির ভিতরে মজুত থাকা সবচেয়ে গরম ইন্টার গ্যালাকটিক মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত অন্তরীক্ষে প্রায় হাজার জিয়ার জিএস এর খবর জানা গিয়েছে।
Alcyoneous এর সুপার চার্জ পার্টিক্যাল অর্থাৎ আবেশিত কণা এর Sychrotron বলা হয়। যা গ্যালাক্সির ভেতরে রেডিও তরঙ্গের সঞ্চার করে। এই তরঙ্গ পুরো আকাশগঙ্গাতে একদিকে থেকে আরেক দিকে চলে যায়। এটি আসলে রেডিও জেটস বলে পরিচিত। যা কি না কোন তথ্য মেলার আগেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রায় আলোকবর্ষের গতিতে চলে যায়।