মঙ্গলবার, পাঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডীগড়ে একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গিয়েছে, যেখানে খেলোয়াড়দের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। মূলত তাঁরা একটি বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনী করছিলেন। আর সেটাও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এনারা ছিলেন পাঞ্জাবের প্যারা-অ্যাথলিট খেলোয়াড় যাঁরা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বাড়ির সামনে বসে ছিলেন এবং নিজেদের তরফে কিছু কথা মন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলেন।
এই অ্যাথলিটরা নিজেদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে ভাল পর্যায়ে খেলেছেন। খেলোয়াড়রা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন কিন্তু তাঁদের কোনও চাকরি জোটেননি ও তাঁরা বেকার। সেই কারণেই মূলত মন্ত্রীর কাছে তাঁরা আবেদন করতে হাজির হয়েছিলেন।
বেকারত্বের শিকার হয়ে এই খেলোয়াড়দের ধৈর্য্য উত্তরে দিয়েছে। এখন তারা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পৌঁছে গিয়েছে।
খেলোয়াড়রা হুমকি দিয়েছিল যে তারা চাকরি না পেলে তাদের পুরষ্কার এবং সম্মান ফিরিয়ে দেবে। ফলে তাঁরা নিজেদের মেডেল ও ট্রফি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সেখানে।
এই কারণে, প্রতিবন্ধী প্যারা ক্রীড়াবিদরা পঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছিলেন এবং চাকরির দাবি শুরু করেছিলেন।
তাদের দাবি পূরণের জন্য, তাঁরা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পদক এবং ট্রফি রাস্তায় রেখেছিল এবং তাদের জামা খুলে বসেছিলেন তাঁরা।
দীর্ঘদিন পর ৩ জন বিশেষ খেলোয়াড়কে এই প্যারা-ক্রীড়াবিদদের প্রতিনিধি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পাঠানো হয়, যারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।