স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি করোনার কোপে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিও বিপর্যস্ত! সাধারণ মানুষের শুধু পকেটেই নয়, সঞ্চয়েও টান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলি অবসর জীবনে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে নিয়মিত আয়ের সবচেয়ে বড় ভরসা।
অবসর জীবনে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের POMIS-এ বিনিয়োগ বিশেষ ফলদায়ী হয়ে উঠতে পারে। অবসরের পরও আয় বাড়াতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকরা Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এ বিনিয়োগ করতে পারেন।
এই Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এ বিনিয়োগের পরে প্রতি মাসে একটি সুনির্দিষ্ট আয় নিশ্চিত হবে এবং ওই বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। এই স্কিমে, জমা দেওয়ার জন্য পোস্ট অফিসে আলাদা POMIS ফর্ম পূরণ করতে হবে।
এই Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এ কমপক্ষে ১,০০০ টাকা এবং সর্বাধিক ৪,৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্রকল্পটি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য খুব উপকারী।
Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এ যৌথ অ্যাকাউন্টে (জয়েন্টঅ্যাকাউন্টে) সর্বাধিক ৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ, স্বামী এবং স্ত্রী মিলিয়ে তাঁদের যৌথ অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
পোস্ট অফিসের POMIS-এ একজন নাবালকের নামেও টাকা জমা রাখা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এই স্কিমে বিনিয়োগের আগে গ্রাহককে পোস্ট অফিসে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এই Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এ বার্ষিক সুদের হার ৬.৬ শতাংশ যা অন্যান্য ব্যাঙ্কের যে কোনও সেভিংস স্কিমের চেয়ে বেশি।
Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এর মেয়াদ ৫ বছর। যদি নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে টাকা তুলে নেন সে ক্ষেত্রে কিছুটা লোকসান হবে।
পোস্ট অফিসের POMIS-এ বিনিয়োগের এক বছরের মধ্যে টাকা তুলতে পারবেন না। বিনিয়োগের ৩ বছরের মধ্যে টাকা তুললে ২ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হবে। যদি বিনিয়োগের ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে টাকা তুলে নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে ১ শতাংশ টাকা কাটা যাবে।
এই Post Office Monthly Income Scheme (POMIS)-এ বিনিয়োগ করতে হলে সরকারি পরিচয়পত্রের প্রমাণ, ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং একজন নমিনির প্রয়োজন পড়বে। যদি পোস্ট অফিসের কোনও অ্যাকাউন্ট না থাকে, সে ক্ষেত্রে একটি এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।