দেশজুড়ে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী! প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে বাংলায়!
সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে লক্ষাধিক রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তবে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার কর্মী। বাড়তে থাকা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে রেলের ৭০টি হাসপাতাল এখন করোনা রোগীতে কানায় কানায় পূর্ণ। ফলে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের জায়গা হচ্ছে না।
গত কয়েক সপ্তাহে হাওড়া ও শিয়ালদা শাখা মিলিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি চালক, গার্ড ও রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত। তার উপরে স্বল্প দূরত্বের প্রায় সবকটি ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা ২০ শতাংশেরও কম।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, তার উপর অধিকাংশ রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে এমনিতেই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় মিলেছে সাময়িক স্বস্তি।
ট্রেন বন্ধ হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি মিললেও বাড়বে রেলের ক্ষতির বহর। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির খবরে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির নানা খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ওই সব খবরে দাবি করা হয়, লোকাল ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া নাকি একধাক্কায় ছয় গুণ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। অর্থাৎ, লোকাল ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়ে যাবে।
যদিও, ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, লোকাল ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে না। মেল ট্রেন এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়ারও অপরিবর্তিতই রেখেছে রেল।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনও নির্দেশ পাননি তাঁরা। ফলে আগের মতোই লোকাল ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা এবং মেল ট্রেনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভাড়া ৩০ টাকাই থাকছে।