সদ্যোজাত শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয় কেন্দ্র। তাই শিশুস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। সরকার পুষ্টি ও খাদ্য BIS অনুমোদনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য ভারতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও মান কর্তৃপক্ষ (FSSAI) খসড়া বিধি জারি করেছে।
নতুন নিয়মের আওতায় এখন শুধু BIS অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো শিশুর পুষ্টি ও খাবার তৈরি করবে। BIS অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়, এমন সংস্থাগুলো শিশুদের পুষ্টি ও খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের অনুমতি পাবে না।
সরকারের এই সিদ্ধান্তো BIS সার্টিফিকেশন ব্যবহারকারী সংস্থাগুলো উপকৃত হবে। পাশাপাশি, যে সমস্ত অসংগঠিত খাতের সংস্থাগুলো নবজাতকদের জন্য শিশুর খাবার তৈরি করছে, সেই সংস্থাগুলো আর শিশুর খাবার তৈরি বা বিক্রি করতে পারবে না।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে, নেসলে, খুবই উপকৃত হতে পারে। শিশুদের জন্য খাদ্য সম্পূরক তৈরির সবচেয়ে বড় ব্যবসা রয়েছে নেসলের। কেন্দ্রে এই সিদ্ধান্তে বড় ব্যবসার সুযোগ তাদের জন্য। এ ছাড়া, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডও (HUL) FSSAI-এর নতুন খসড়া নিয়মের সুবিধা পেতে চলেছে। সংস্থাটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে।
সরকার খাদ্য নিরাপত্তা মান কর্তৃপক্ষের ২০১১-এর নিয়ম সংশোধন করতে যাচ্ছে। নতুন খসড়া বিধিমালায়, BIS অনুমোদনের পরেই শিশুর খাবার বিক্রি করা হবে। ২০১১-এর নিয়মে সংশোধন করার ফলে এটি কার্যকর হতে চলেছে।
যারা আয়ুর্বেদের নামে খাদ্য পণ্যের ব্যবসা করছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তাদের সমস্যা বাড়তে চলেছে। এই নিয়মগুলি এমন দাবির বিষয়ে যে খাদ্য পণ্য সংস্থাগুলি তাদের ব্র্যান্ডগুলি আয়ুর্বেদিক হিসাবে বিক্রি করে। এই দাবিগুলো কতটা সত্য, সংস্থাগুলো যে দাবি করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক FSSAI এবং আয়ুশ মন্ত্রক নতুন নিয়ম কার্যকর করার ক্ষেত্রে কাজ করছে।
আয়ুর্বেদিক খাবারে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মধু, গুড় বা গোলাপ তেল, কেওড়া তেল, রোজমেরি তেল, খেজুরের রসের মতো প্রাকৃতিক উপাদানের পরিমাণ ও মান নির্ধারণ করা হবে।