উৎসবের মরশুমেই ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুখবর দিল কেন্দ্র। করোনার সময়ে আপনি কোনও লোনের সুদ দিয়ে থাকলে বা না দিয়ে থাকলে সেই সুদের টাকা আপনাকে ফেরত দেবে ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ লকডাউনের সময় প্রায় ছ'মাস ঋণস্থগিতাদেশ প্রক্রিয়া চলাকালীন সুদের উপর সুদ মকুব করার পরিকল্পনা কেন্দ্রের।
কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল ঋণগ্রহীতারা ১ মার্চ থেকে ৩১ আগস্টের মেয়াদে এই সুবিধা পাবেন। ঋণের সুদ মুকুব করার ফলে বাড়ি, অটোমোবাইল, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য যারা ঋণ গ্রহণ করেছিলেন তারা এই সুবিধা পাবেন।
দীপাবলির আগে সরকার আপনার লোনের উপরে নেওয়া সুদের টাকা ফেরত দেবে আপনার অ্যাকাউন্টে। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে, ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে কমপাউন্ড ইন্টারেস্ট এবং সিম্পল ইন্টারেস্টের পার্থক্য রেখে আপৎকালীন অগ্রিম টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
তবে যারা মোরেটোরিয়ামের সুবিধা নেননি তারাও এই ঋণ মুকুব সুবিধা পাবেন। তবে তাদের ঋণের পরিমাণ দু-কোটি টাকার কম হতে হবে। ২৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রক নির্দেশ জারি করে বলেছেন, ৫ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
মোরেটোরিয়ামের সুবিধা নেননি এমন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সুদের হারের ভিত্তিতে গণনা করা হবে। সরকার মোটা অঙ্কের অর্থ ফেরত দেবে। এই খাতে প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
সব ধরনের ঋণেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে- বাড়ির লোন, অটো লোন, ব্যক্তিগত লোন, শিক্ষাক্ষেত্রে লোন, ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া-র মতো বিষয়ে ঋণের ক্ষেত্রে। এই সমস্ত লোনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক যে টাকা ফেরত দেবে তা সরকার থেকে প্রাপ্ত রাশি।
মনে করা হচ্ছে ৩০-৪০ লক্ষ কোটি টাকার লোন এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। প্রায় বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে ৫০০০-৬৫০০ কোটি টাকা সুদের উপরে সুদ আসতে চলেছে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি ১.২০ লক্ষ টাকার ঋণে প্রতি ছয় মাসে ২০হাজার টাকা লোন দিয়েছেন। তাহলে ৪ শতাংশ হারে এক বছরের সুদ হয় ১৬০০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ছয়মাসের হিসাবে ৮০০ টাকা ক্যাশব্যাক দেওয়া হবে।