এ বারের বাজেটে নতুন যে Wage Code-এর কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman), তা কার্যকর হলে কিছুটা হলেও কমবে ‘টেক হোম’ স্যালারি-র অঙ্ক৷
নয়া Wage Code বা বেতন বিধি অনুযায়ী, কোনও কর্মীর মোট ভাতার (মহার্ঘ ভাতা বাদ দিয়ে) পরিমাণ মোট বেতনের (কস্ট-টু-কোম্পানি বা CTC) ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
সুতরাং, নতুন Wage Code বা বেতন বিধি অনুযায়ী, প্রত্যেক কর্মীর মূল বেতন (বেসিক) মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ হতেই হবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি প্রভৃতি খাতে আরও বেশি পরিমাণ টাকা কাটা হবে। ফলে কর্মীদের 'টেক-হোম পে' কমতে পারে।
Wage Code চালু হলে শুধু ‘টেক হোম’ স্যালারি নয়, কমবে অবসরকালীন সঞ্চয়ের পরিমাণও৷ যাঁদের প্রতিমাসে Provident Fund-এ ২০,৮৩৩ টাকার বেশি অর্থ জমা পড়ে, তাঁদের এই কর দিতে হবে।
১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার থেকেই আয়কর সংক্রান্ত নয়া আইনগুলি কার্যকর করা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল। ওই আইনগুলি কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিধি-নিয়মও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে।
সেই হিসাবে ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার থেকেই নয়া Wage Code-এর ধাক্কায় ‘টেক হোম’ স্যালারি-র অঙ্ক কমে যাওয়ার কথা ছিল। টান পড়ত অবসরকালীন সঞ্চয়ের পরিমাণেও। তবে দেশের মাত্র ৬টি রাজ্য ছাড়া বাকি রাজ্যগুলি তাদের বিধি-নিয়ম এখনও চূড়ান্ত না করায় Wage Code এখনই কার্যকর হচ্ছে না।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা আর জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া কেন্দ্রের নয়া শ্রম আইনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি বাকি রাজ্যগুলি। এর মধ্যেও নয়া শ্রম আইনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে একমাত্র জম্মু-কাশ্মীর।
উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ড কেবলমাত্র নতুন আইনের অধীনে দুটি কোডের খসড়া বিধি প্রচার করেছে, অন্যদিকে কর্ণাটক একটি কোডের খসড়া বিধি প্রচার করেছে। তাছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে এখন বিধানসভা নির্বাচন চলছে। তাই নতুন আইন এখনই বলবৎ করা যাচ্ছে না।
নয়া এই আইন অনুযায়ী, শ্রমিক-কর্মীদের বেতনের কাঠামো আমূল পরিবর্তিত হতে চলেছে। প্রত্যেক সংস্থাকেই তার সমস্ত কর্মীর বেতনের কাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজতে হবে। ফলে নতুন Wage Code বা বেতন বিধি এখনই কার্যকর না হওয়ার কিছুটা স্বস্তিতে দেশের সমস্ত ছোট-বড় সংস্থাও।